প্রিয়জনের সঙ্গে জলের তলায় প্রবাল দর্শন, হানিমুন ডেস্টিনেশন হক আন্দামান
বিয়ের মরশুমে চটজলদি হানিমুনের পরিকল্পনা। খানিক ভিন্ন স্বাদের ট্রিপের খোঁজ করছেন যাঁরা, তাঁরা তালিকাতে রাখতেই পারেন আন্দামান। বিয়ের পর হানিমুন ডেস্টিনেশনে এবার পৌঁছে যান এক ঐতিহাসিক শহরে। যেখানে মিলবে বিচের স্বাদ পাশাপাশি মিলবে সেলুলার জেল, জারোয়া গোষ্ঠীর দেখাও। রইল বিস্তারিত তথ্য।
Jayita Chandra | Published : Feb 19, 2020 2:07 PM IST
আন্দামানে ঘোরার জন্য হাতে সময় লাগবে পাঁচ রাত ছয় দিন। বিমান পথে পৌঁছে যেতে হবে পোর্টব্লেয়ার। খরচ ৬ থেকে ৭ সাহার টাকার মধ্যে।
এখানে দেখার মত অনেক কিছু রয়েছে। তবে সম্প্রতি এখানে জারোয়াদের দেখার দ্বীপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই বুঝে এখানে ট্রিপ পরিকল্পনা করা উচিত।
জলপথে এই যাত্রা না করাই ভালো। এতে দু-তিন দিন সময় লাগে। এবং পরিশ্রমও হয় অনেক বেশি। তাই জলপথ এড়িয়ে চলাই ভালো।
পোর্টব্লেয়ারে হ্যাভলক আইল্যান্ডে থাকতে পারেন। এখানে দুরাত্রী কাটিয়ে দেওয়া যায়। এক রাত্রী পোর্টব্লেয়ারে থাকতে পারেন।
হ্যাভলক আইল্যান্ডে ওয়াটার স্পোর্টস-এর সুযোগ রয়েছে অনেক। বীচের ধারে অনেক কিছু করার থাকে যা এই ট্রিপকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলবে।
পাশাপাশি নীল আইল্যান্ডেও যেতে পারেন। সেখানে দু রাত্রী থাকা যেতে পারে। এখানে বীচের সৌন্দর্য অনবদ্য। এখানে জলের রঙেই মুগ্ধ হয়ে থাকেন পর্যটকেরা।
খাবার ও হোটেল এখন সাধ্যের মধ্যে। এখানে ২৫০০ থেকে ৩০০০-এ বেশ ভালো হোটেল পাওয়া যায়। খাবারের জন্য মাথাপিছু ১৪০০ টাকা ধরে চললেই হবে।
এখানে এসে সেলুলার জেল দর্শন করা এক অতিরিক্ত পাওনা। এখানে অনেক বেশি পর্যটকদের আকর্ষণ থাকে।
বর্ষার সময় এই জায়গায় না আসাই উচিৎ। এই সময় ওয়াটার স্পোর্টস বন্ধ থাকে। জলের ওপর বোর্ট চলে না।
মাথাপিছু আন্দামানে ঘোরার জন্য খরচ হতে পারে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা।