শীতের ডেস্টিনেশন বদলাচ্ছে এখন পর্যটকেরা। শীতে মানেই যে কেবল বিচ, সেই সংজ্ঞা বদলছে বর্তমানে। এখন বরফে মজতেও পর্যটকেরা ভিড় জমিয়ে থাকেন বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকাতে। বরফ পড়া চাক্ষুস করতেই বর্তমানে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ছে উত্তরাখণ্ডের অউলির প্রতি। রইল এই ভ্রমণের বিস্তারিত তথ্য।
বরফে আবৃত অউলি দেখতে হলে অবশ্যেই এই স্থানে আসতে হবে ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। এরই মাঝে এলে বরফে ঢাকা অউলি নিঃসন্দেহে নজর কাড়বে।
অউলি পৌঁছতে হলে যেতে হবে যোশীমঠ দিয়ে। সেখানে যেতে ট্রেন কিংবা বিমানে করে যেতে হবে আগে দিল্লি বা হরিদ্বার বা দেরাদুণ হয়ে।
এখানে মিলবে অনেক স্নো অ্যাক্টিভিটির সুযোগ। পাশাপাশি বরফ পরার সাক্ষীও থাকতে পারেন পর্যটকেরা। এই স্থানে আসার জন্য থাকতে হবে যোশীমঠে।
যোশীমঠ থেকে এই জায়গার দুরত্ব ১৬ কিলোমিটার। যোশীমঠ থেকে এখানে আসতে গাড়িও করা যায় বা রোপওয়ে-তেও যাওয়া যায়। আসা যাওয়া নিয়ে রোপওয়েতে খরচ পড়বে সাড়ে সাতশো টাকা।
বর্তমানে অউলি-তে অনেকগুলি হোটেল তৈরি হলেও তা বেশ খরচ সাপেক্ষ। তাই যোশীমঠ থেকেই অউলি ঘোরার পরিকল্পনা করা পকেটের পক্ষে সুবিধে জনক।
অউলি-তে স্নো ছাড়াও দেখার মত বেশ কয়েকটি জায়গা রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল চেনামব লেক, নন্দনদেবী ন্যাশনাল পার্ক, ত্রিশুল পিক।
এখানে এসে পাওয়া যাবে ট্রেকিং-এর সুখও। বেশ কয়েকটি জায়গায় ট্রেক করেই পৌঁছে যাওয়া যাবে অনায়াসে। এবং শীতের মরসুমে তা আরও বেশি বরফের কারণে আকর্ষণ করে থাকে।
এখানে আসার জন্য খরচ নির্ভর করে কীভাবে ট্রিপ সাজানো হচ্ছে তার ওপর। সাধারণত হোটেলে রুম পিছু খরচ ২ থেকে ৪ হাজার টাকা।
খাবারের খবর খুব একটা বেশি নয়, মাথা ও দিন পিছু খবর ৪০০ টাকা ধরে চলাই যায়।
শীতের সময় বর্তমানে খরচ খানিকটা বৃদ্ধি পায় স্নো অ্যাক্টিভিডির জন্য। বছরের অন্যন্য সময় আসলেও এখানে কৃত্রিম উপায় স্নো তৈরি করে নেওয়া যায়।