বৃহস্পতিবার সকালে মালবাজারের একটি বাড়িতে আচমকাই ঢুকে পড়ে একটি মাঝবয়েসী ভাল্লুক (Bear)। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় বনদপ্তরে (Forest Department) । সকাল পেরিয়ে এখন বিকেল। মুক্তির অপেক্ষায় মাঝবয়সী ভাল্লুক।চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই নানা মুহূর্তের ছবি।
Web Desk - ANB | Published : Dec 9, 2021 11:23 AM IST / Updated: Dec 09 2021, 04:55 PM IST
বৃহস্পতিবার সাতসকালে মাল পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডে হানা দেয় একটি ভাল্লুক (Bear) । এদিন সকালে মালবাজারের বাটাইগোলা এলাকায় থাকা একটি বাড়িতে মাঝ বয়সী ভাল্লুককে দেখতে পান ভবনের কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় বনদপ্তরে (Forest Department) ।
এদিকে সকাল পেরিয়ে এখন বিকেল। মুক্তির অপেক্ষায় দরজার নিচে দিয়ে তাঁকিয়ে সেই মাঝবয়সী ভাল্লুক। , যদি একবার মুক্তি পাওয়া যায়। ডুয়ার্সের মালবাজারে পুরসভার বাটাইগোল বাজারে এক গৃহস্থ্যের বাড়িতে ঢুকে পড়ে ভাল্লুকটি।
অনেকেই আবার হিংস্র এই বিশালাকার জন্তুকে চাক্ষুস দেখার জন্য পাগল। উৎসাহী জনতাকে হঠাতে হিমসিম খেতে হয়েছে পুলিশ ও বনকর্মীদেরকে।তবে এদিকে একা ঘরে বড়ই নিঃসঙ্গ কি এই মাঝবয়সী ভাল্লুক, স্থানীয় ক্ষুদের দলের চোখ ছলছল করে ওঠে।
বৃহস্পতিবার সকালে মালবাজারের একটি বাড়িতে আচমকাই ঢুকে পড়ে একটি মাঝবয়েসী ভাল্লুকটি। ঘরে ঢুকে পড়তেই খবরটা জানতে পেরে আটকে দেওয়া হয় দরজা। ঘরের মধ্যে ফার্নিচার বলতে একটা আলমারি, শোকেশ। এদিকে সকালে সূর্যের আলো তাও সঙ্গ দিচ্ছিল। এভাবে আর কতক্ষণ, চেনা জঙ্গলে ফেরার অপেক্ষায় কি ভাল্লুকটি, ফিসফিস স্থানীয়দের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার সবে তখন শীতের আমেজে ঘুম ভেঙেছে মালবাজারবাসীর। আর সাতসকালেই অঘটনের খবর। এই মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত হয়েছে বনকর্মীরা। ডুয়ার্সের মালবাজারে পুরসভার বাটাইগোল বাজারে এক গৃহস্থ্যের বাড়িতে দেখতে পাওয়া যায় ওই ভাল্লুকটিকে। এই ঘটনায় ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। যদিও ভাল্লুকের চোখেও যে কম আতঙ্ক নয়, গুঞ্জন চারিদিকে।
কখনও অসহায় চাহনী নিয়ে এদিক ওদিক তাঁকিয়ে মাঝবয়সী ভাল্লুক। আবার কখনও কখনও দরজার নীচ দিয়ে দেখার চেষ্টা, যদি একবার মুক্তি পাওয়া যায়। ওপারে ছবি ওঠে পর পর। বুক ধুকপুক করে বুঝে কি ভাল্লুকেরও, অনাবিল প্রশ্নে ডুবে যায় পড়ুয়ারা দল।
এদিকে সবে বুধবারেই সাতসকালে জলপাইগুড়িতে বনদপ্তরের তিস্তা উদ্যানে ভাল্লুকের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে ফুটে উঠেছে আবছা ছবি। কোনও ঝুঁকি না নিয়েই তল্লাশি শুরু করে দেয় বন দফতর। মুহূর্তেই বন্ধ করে দেওয়া হয় জলপাইগুড়ি জেলা সরকারি বইমেলা। এদিকে ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই ফের ভাল্লুকের দেখা মিলেছে জলপাইগুড়ি জেলায়।
জলপাইগুড়িতে বনদপ্তরের তিস্তা উদ্যানে ভাল্লুকের পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্ক তৈরি হয়। বুধবার সকাল ৭ টা ৭ মিনিটে সিসিটিভি ফুটেজে আবছা ছবিতে কিছু একটা জন্তু তিস্তা উদ্যানে ঘোরাফেরা করছে বলে দেখা গিয়েছে। উদ্যানের ভেতর পায়ের ছাপ ও জন্তুটির আকার আকৃতি দেখে ভাল্লুক বলেই মনে হচ্ছে।
অনেক খোজাখুজির পরেও ভাল্লুক দেখা যায়নি।সিসিটিভি ফুটেজে ভাল্লুক পাওয়া গেছে। কিন্তু সেই ভাল্লুক কোথায় কেউ জানে না। শহরে কোথাও লুকিয়ে থাকতে পারে। এই আতঙ্কে জলপাইগুড়ি জেলা সরকারি বইমেলা সন্ধ্যায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জন সাধারণের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তাই কোনও রকম ঝুকি নিতে রাজি জলপাইগুড়ি প্রশাসন। ইতিমধ্যে পরপর দুই দুটি ঘটনায় কিছুটা উদ্বেগও বেড়েছে সাধারণ মানুষের।