ভোটের মুখে 'ফিরলেন' রাজকুমার, পরিবারকে আর্থিক সাহায্যে দাবিতে বিক্ষোভ সহকর্মীদের

 কে এই রাজকুমার রায়? কেনই বা তাঁর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করার দাবি উঠেছে? তাহলে আপনাকে ফিরে যেতে হবে ২০১৮ সালে, পঞ্চায়েত ভোটের সময়।
 

উত্তর দিনাজপুরের করণদিগি রহতপুর হাইস্কুলের শিক্ষক ছিলেন রাজকুমার। পঞ্চায়েত ভোটে জেলার ইটাহার ব্লকের একটি সোনাপুর প্রাথমিক স্কুলে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পান তিনি। 
 

 তখনও ভোটগ্রহণ চলছিল। নির্বাচনকেন্দ্র থেকে নিখোঁজ হয়ে যান খোদ প্রিসাইডিং অফিসারই। পরের দিন সকালে রায়গঞ্জের বামুনগাঁ এলাকায় রেললাইনে ধারে রাজকুমারের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে।
 

 কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল? এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সিআইডি। মৃত ভোটকর্মীর স্ত্রী চাকরি পেয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের দপ্তরে। চালু হয়ে গিয়েছে পেনশন।
 

কিন্তু ভোট চলাকালীন যে প্রিসাইডিং অফিসার মারা গেলেন, তাঁর পরিবারকে এখনও পর্যন্ত কোনও আর্থিক সাহায্য করেনি নির্বাচন কমিশন। সঠিক তদন্তের দাবিতে 'রাজকুমার রায়ের হত্যার বিচার চাই' নামে একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ গড়েছে প্রয়াত শিক্ষকের সহকর্মীরা। সেই মঞ্চের তরফে সোমবার অবস্থান বিক্ষোভ চলল জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে।