সাইকেলে পাড়ি দিয়ে গোটা ভারত ভ্রমণ, দূষণমুক্ত পৃথিবী গড়ার ডাক কলেজ পড়ুয়ার

খুব ছোট বেলা থেকেই সাইকেল নিয়ে স্বপ্ন বুনত প্রসেনজিৎ দাস, যাকে এলাকার মানুষ জোজো কুমার হিসেবেই বেশি চেনেন।

Parna Sengupta | Published : Sep 1, 2021 1:26 PM IST

দূষণ মুক্ত পৃথিবী (pollution-free world) গড়ে তোলার ডাক দিয়ে সাইকেল (bicycle) চেপেই ভারত (India) ভ্রমনে পাড়ি জমালো মুর্শিদাবাদ সীমান্তের জনপদ লালগোলার সদ্য কলেজ উত্তীর্ণ এক পড়ুয়া জোজো কুমার। এই ঘটনার চাউর হতেই বুধবার উৎসাহী মানুষরা জোজোর এই দূষণ মুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলার ভাবনাকে কুর্নিশ জানাতে হাজির হন। খুব ছোট বেলা থেকেই সাইকেল নিয়ে স্বপ্ন বুনত প্রসেনজিৎ দাস, যাকে এলাকার মানুষ জোজো কুমার হিসেবেই বেশি চেনেন।

বাবা বিশ্বজিৎ দাসের ছোট্ট মুদির দোকান। বাবাকে ব্যাবসার কাজে  সাহায্য না করেই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়া ছিল শখ। কখনও জিয়াগঞ্জ, তো কখনও ফরাক্কা অথবা মালদা কিংবা ৩৪ নম্বর সড়ক ধরে দুই প্যাডেলে ভর করে পৌঁছে যেত ডালখোলা। সীমান্ত ঘেঁষা লালগোলা থেকে প্লাস্টিক বর্জনের ডাক দিয়ে জোজো অনায়াসে সাইকেল নিয়ে পৌঁছিয়ে গিয়েছিল দার্জিলিংয়েও। 

'তেপান্তরের পথে' নাম দিয়ে ওই জোজো এবার পাড়ি দিল 'ভারত ভ্রমনে'। জানা গিয়েছে, জঙ্গিপুর হয়ে মুরারই দিয়ে সে পৌঁছাবে ঝাড়খন্ড। তারপর একে একে বিহার, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, লাদাখ, কাশ্মীর,পঞ্জাব, হরিয়ানা হয়ে গোট দেশ ঘুরবে রোগা পাতলা চেহারার এই যুবক। দিন কয়েক আগে কলেজ পেরিয়েছে জোজো কুমার। 

কিন্তু তেপান্তরের পথে নাম কেন জানতে চাওয়া হলে শীর্ণকায় ছেলেটি বলে, “তেপান্তর একটি কল্পনার মাঠ। কিন্তু ওই মাঠ আমার কাছে নির্মল, যেখানে দূষণমুক্ত বাতাস আছে,আছে পেঁজা তুলোর মতো সুন্দর আকাশ আর পরিশ্রুত জল। সেই কল্পনার তেপান্তরকে সামনে রেখে বাস্তবের পরিচ্ছন ভারতবর্ষ গড়ে তোলার ডাক দিতেই আমার এই সাইকেল যাত্রা। তাই যাত্রা পথে মানুষকে নির্মল ভারত গড়ে তোলার জন্য সচেতন করে তুলব এবং এটাই আমার লক্ষ্য।” 

নিজের পার্সে কত টাকা রাখেন মুকেশ অম্বানি, জানলে চোখ কপালে উঠবে

ব্যাঙ্কের চেক থেকে রান্নার গ্যাসের দাম, পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে চালু একাধিক নতুন নিয়ম

Bank Holidays in September : সেপ্টেম্বর মাসে কোন কোন দিনে বন্ধ ব্যাঙ্ক, দেখে নিন তালিকা

এক বছরের বেশি সময় ধরে অজানা পথে সাইকেল নিয়ে ছুটবে ছেলে, তাই প্রথম দিকে মানতে পারেননি জোজোর মা নীলিমা দাস । কিন্তু ছেলের অদম্য শক্তির কাছে হার মেনেছেন তিনিও। তবে বাবা বিশ্বজিৎ দাস ছেলেকে উৎসাহ জুগিয়েছেন প্রথম দিন থেকেই। আশির দশকে হেঁটে ভারত ভ্রমণ করেছিলেন লালাগোলার আরেক সন্তান তীর্থ কুমার ফণী, সাইকেলে দেশ ঘুরেছেন রামপদ মন্ডল। এঁদেরই যোগ্য উত্তরসূরি নাট্যপ্রেমী জোজো কুমার। এখন এই কলেজ উত্তীর্ণ যুবকই চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদ জুড়ে ।

Share this article
click me!