১৩ সংখ্যাকে অশুভ বলে মনে করেন অনেকেই। শুধু এদেশেই নয় সারা বিশ্বে অশুভ বলে পরিচিত ১৩ সংখ্যাটি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধর্মে এই সংখ্যাটি অশুভ বলেই পরিচিত। এই বিষয়ে কী বলছে সংখ্যাতত্ত্ববিদরা।
সারা বিশ্বে পরিচিত ১৩ সংখ্যাটি, অশুভ সংখ্যা হিসেবেও এর পরিচিতি নেহাত নয়। সারা বিশ্বের পরিসংখ্যান অনুসারে এই ১৩ সংখ্যাটি নিয়ে লোকমনে ভীতি নেহাত কম নেই। যতই আমরা প্রত্যক্ষ সমাজে কুসংষ্কারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠি না কেন, পরোক্ষভাবে বা লোকচক্ষুর আড়ালে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই কুসংষ্কারাচ্ছন্ন। তার একেবারে জলজ্যান্ত উধাহরণ হল এই সংখ্যা।
আরও পড়ুন- শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে রাজ্যে শুরু ফাইলেরিয়া পরীক্ষা, জানুন কীভাবে এই রোগের সৃষ্টি হয়
জানা গিয়েছে এই সংখ্যা নিয়ে মানুষের মনে ভীতি এতটাই যে অনেক ক্ষেত্রে গাড়ী বা বাড়ির প্লট সংখ্যা ১৩ থাকলে বাড়ি করতে রাজি হন না অনেকেই। একই ভাবে গাড়ির ক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটে। মোবাইল নম্বরের শেষে ১৩ সংখ্যা থাকলেও সেই নম্বর নিতে চান না গ্রহকেরা।
আরও পড়ুন- মনে রাখুন শ্রীরামকৃষ্ণের এই ছটি বাণী, জীবনে ফিরবে সুখ ও শান্তি
বহুদিন ধরে প্রচলিত কুসংস্কারের ফলে মানুষের মনে এই ১৩ সংখ্যাটি অশুভ হিসেবে পরিণত হয়েছে। তাই 'Unlucky 13' বা Friday the 13'-এর মত মিথগুলোও বিশ্বাসের ফলে প্রচলিত সত্যতে পরিণত হয়েছে। কানাডার ওন্টারিওতে ১৩ নম্বর জাতীয় সড়ক বলে কিছু নেই। এর কারণ এই নম্বরটিকে কানাডিয়ানরা দুর্ভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করেন। যদিও এর কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ নেই।
আরও পড়ুন- ক্রমে বাড়ছে বাচ্চার লাজুক স্বভাব, সোশ্যাল অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারে ভুগছে না তো
কেবলমাত্র কানাডাতেই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধর্মে এই সংখ্যাটি অশুভ বলেই পরিচিত। তবে সংখ্যাতত্ত্ববিদরা কিন্তু মোটেও ১৩ সংখ্যাটিকে অশুভ বলেনি। ভারতীয় সংখ্যাতত্ত্ব ১৩ কে একটি মহাজাগতিক সংখ্যা বলে গণ্য করে। মাঘ মাসের ১৩ তারিখেই মহাশিবরাত্রি উদযাপিত হয়। এদিন হিন্দু ঐতিহ্যের পবিত্র দিনগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দিন। এছাড়া যে কোনও মাসের ১৩ তারিখকে তন্ত্র ও অন্যান্য হিন্দু ধারা পবিত্র বলে মনে করে। এই দিনগুলোতে বিশেষ পুজো-পাঠের নিয়ম বা রীতির উল্লেখ শাস্ত্রে রয়েছে। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে ত্রয়োদশী দিনটি শিবের দিন হিসেবে মনে করা হয় বা উৎসর্গ করা হয়। তাই ভয় কাটিয়ে উঠুন। কে বলতে পারে হয়তো এই ১৩-নম্বরের হাত ধরেই আপনার জীবনে আসতে পারে শুভ যোগ।