করোনার পরবর্তী শারীরিক সমস্যার চিকিৎসার জন্য, পোস্ট-কোভিড রিকভারি ক্লিনিক চালু করল অ্যাপোলো

  • পোস্ট-কোভিড সময়ে মৃদু  ও দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় ভোগেন অনেকে
  • সংক্রমণের কয়েক মাস পরেও এসব চলতে থাকে
  • দৃষ্টিশক্তির সমস্যা এবং স্মৃতি হারানোর সমস্যাও দেখা দিতে পারে
  • পোস্ট কোভিড রিকভারি ক্লিনিক চালু করার কথা ঘোষণা করল অ্যাপোলো

deblina dey | Published : Oct 20, 2020 8:24 AM IST

করোনা আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠার পরেও অনেকেই সংক্রমণের কারণে থেকে যাওয়া মৃদু  ও দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় ভোগেন। প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি কোভিড রোগী ভোগেন শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, হার্টের সমস্যা,  গাঁটের ব্যথা, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা এবং স্মৃতি হারানোর সমস্যায় ভোগেন। নোভোল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কয়েক মাস পরেও এসব চলতে থাকে। আর এই সমস্যার সমাধানে অ্যাপোলো গ্রুপের হসপিটাল নেটওয়ার্ক জুড়ে পোস্ট কোভিড রিকভারি ক্লিনিক চালু করার কথা ঘোষণা করেছে।

আরও পড়ুন- অতি হালকা আঘাতেও ভেঙ্গে যেতে পারে হাড়, জেনে নিন অস্টিওপোরোসিস-এর মারাত্মক প্রভাবগুলি

দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ওপর প্রভাব ফেলে  কোভিড ১৯। স্ট্রোক, মাইওকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশনের মতো জটিল রোগ, ডায়াবেটিস  ও হাইপারটেনসনের মতো ক্রনিক রোগ কোভিড১৯ পরবর্তী রোগের লক্ষ্মণ। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে। এই সব ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মৃত্যুর জন্য দায়ী তীব্র কার্ডিয়াক সমস্যা। প্রাথমিকভাবে কলকাতা, ভুবনেশ্বর, গুয়াহাটি, দিল্লি, ইন্দোর, লখনউ, মুম্বই, চেন্নাই, মাদুরাই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, মইসুরু   ও আমেদাবাদে পোস্ট কোভিড রিকভারি ক্লিনিকগুলি চালু হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজনে এই ক্লিনিকগুলির সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে ভাববে সংস্থা।

 


 
অ্যাপোলোর, কলকাতার ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল সার্ভিসেস (ডিএমএস) ডক্টর শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছে, “করোনা শুধু ফুসফুসে সংক্রমণই ঘটায় না। প্রভাবিত করে দেহের অন্য অঙ্গগুলিকেও।  ফলে দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক সমস্যা থেকে যায়। রোগের তীব্র দশার চিকিৎসার শেষে এবং রোগী সেরে ওঠার  কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস পরেও কিছু লক্ষ্ণণ দেখা দিতে পারে। এবং রোগের তীব্র দশা চলে যাওয়ার পরেও কোনও ব্যক্তির সাধারণ স্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তেমন রোগীর ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থেকে যাওয়াটা আরও স্বাভাবিক। আবার যে সব রোগী মৃদু সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন তাঁরাও ভাইরাসের দীর্ঘস্থায়ী সংক্রণ থেকে ভুগতে পারেন। দীর্ঘ স্থায়ী প্রতিক্রিয়ার মধ্যে পড়ে এমন সমস্যা যা রোগীকে জটিল অবস্থায় নিয়ে গিয়ে অক্ষম করে ফেলতে পারে। এই বিশেষ ক্লিনিক আমাদের সাহায্য করবে রোগীদের দেহের লক্ষ্মণগুলির ওপর ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালাতে এবং প্রয়োজনের সময়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে।’

Share this article
click me!