অনেকে মনে করেন আনন্ডে শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ হয়। তবে আপনি কি জানেন সাধারণ চিনা বাদামেও মস্তিষ্কের বিকাশ হয়। আসুন জেনেনি চিনা বাদান কতটা উপকারী স্বাস্থ্যের জন্য।
বর্তমানে আমন্ড খাওয়ার চল হয়েছে। অনেকেই মনে করেন সাধারণ চিনা বাদাম খাওয়ার থেকে আমন্ড খাওয়া ভাল। কিন্তু সত্যি কি তাই। অনেকে মনে করেন আনন্ডে শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ হয়। তবে আপনি কি জানেন সাধারণ চিনা বাদামেও মস্তিষ্কের বিকাশ হয়। আসুন জেনেনি চিনা বাদান কতটা উপকারী স্বাস্থ্যের জন্য।
চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতাঃ
চিনা বাদামে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। এটি শরীরে কোনও রোগকে বাসা বাধতে দেয় না। তাই প্রতিদিনই চিনা বাদাম খেতে পারেন। শরীরে মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল, থাকলে চিনা বাদাম খুবই উপকারী। কারণ এটি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। চিনা বাদাম শরীরে ফ্যাট জমতে সাহায্য করে। এটি রক্তের উচ্চচাপ কমায়। অবিসিটি কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকলে তা কমাতে সাহায্য করে।
চিনা বাদাম খাওয়ার নিয়মঃ
প্রতিদিন রাতে ১০-১৫টি চিনা বাদাম ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে সেগুলি খান। এতে ডায়াবেটিশ নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন যদি খাদ্য তালিকায় একমুঠো বাদাম রাখেন তাহলে অবশ্যই কম ওজন। বাদাম শরীরে শক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
এটি আমন্ডের মতই মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। কারণে বাদামে প্রচুর পরিমাণে B3 রয়েছে। এটি স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। চিনা বাদামের মাখন বা পি-নাট বাটারও শরীরের জন্য খুব উপকারী। চিনা বাদাম ভেজেও খেতে পারে। শুকনো ক়ড়ায় রোস্ট করে নিতে পারে। তাতে স্বাদ অনেকটাই বেড়ে যাবে। এছাড়া যে কোনও রান্না যেমন আলু ভাজা, সুজি, পায়েস - ব্যবহার করতেই পারেন। চিনা বাদাম পোলাওতেও দেওয়া যায়। অনেকে মাংসেও ব্যবহার করে থাকেন। রোজ খেলেও কোনও সমস্যা নেই। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। চিনা বাদাম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।