করোনার সেকেন্ড ওয়েভ ভয়াল রূপ নিচ্ছে, হোম আইসোলেশনে এই নিয়মগুলি মানার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

  • ভারতে কোডিভ এর দ্বিতীয় ঢেউ
  • আবারও রেকর্ড স্তরে বাড়ছে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা
  • ব্রাজিলকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত
  • দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬১ হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে

deblina dey | Published : Apr 13, 2021 10:49 AM IST / Updated: Apr 13 2021, 04:21 PM IST

ভারতে কোডিভ এর দ্বিতীয় ঢেউ। আবারও রেকর্ড স্তরে বাড়ছে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুয়ায়ী গত ২৪ ঘন্টায় দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬১ হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী ব্রাজিলকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। প্রথম স্থানে  স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩৬ লক্ষেরও বেশি। মৃত্যুর সংখ্যা ১ লক্ষ ৭১ হাজার ছাড়িয়েছে। এমন এক সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা মৃদু উপসর্গেও হোম আইসোলেশনের পরামর্শ দিয়েছেন। 

আরও পড়ুন- সংক্রমণ ঠেকাতে কি দুটি মাস্ক পরা উচিত, জেনে নিন এই বিষয়ে কি বলেছে সিডিসি 

বিশেষজ্ঞদের মতে চিকিৎসকের পরামর্শ মতই এই সময় নিয়ম মেনে চলা উচিৎ। অতি মৃদু উপসর্গেও পরামর্শ নিন চিকিৎসকের। হোম আইসোলেশনে থাকলে পরিবারের বাকি সদস্যদের সুস্থতার কথা মাথায় রেখে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়মগুলি। অতি মৃদু উপসর্গগুলি ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এক্ষেত্রে হালকা জ্বর, এতে ১০০ ডিগ্রীর বেশি তাপমাত্রা থাকে না। দুর্বল ভাব, গা, হাত, পা ব্যথা এবং মাথা ব্যথা, কফ বা সর্দির দেখা যায় না। হালকা কাশি দেখা দিতে পারে। যাঁদের শারীরিক সমস্যা বেশি হলে তখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ থাকতে হবে।

আরও পড়ুন- দ্বিতীয় তরঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে ভারত, টিকা উৎসবের মধ্যেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে ..

মৃদু উপসর্গ দেখা দিলেও বাড়িতে কিছু নিয়ম পালন করতে হবে যেমন,  আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার্য জিনিসগুলি এই সময় যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবারের বাকি সদস্যদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং শারীরিক দূরত্ব মানতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাথরুম সংলগ্ন ঘরে ঘরে থাকতে হবে। ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না। বাড়িতে বাচ্চা থাকলে অতি সাবধান রাখতে হবে ও পরিষ্কার পরিছন্নতা মেনে চলতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিযুক্ত খাবার দিতে হবে, যেমন - টাটকা ফল, সবজি, দুধ বা দই, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার্য জিনিসগুলি এই সময় যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

Share this article
click me!