সংক্ষিপ্ত

  • করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে 
  • দ্বিতীয় ঢেউ ছাপিয়ে যাচ্ছে প্রথম তরঙ্গকে
  • আক্রান্ত দেশগুলির দ্বিতীয় স্থানে ভারত 
  • ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ লক্ষ ৬১ হাজারে বেশি

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ক্রমশই মারাত্মক আকার নিচ্ছে গোটা দেশে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুয়াযী দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬১ হাজারের গন্ডি ছাপিয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী করোনা আক্রান্ত দেশগুলির ক্রম তালিকায় ব্রাজিলকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। প্রথম স্থানে  স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩৬ লক্ষেরও বেশি। মৃত্যুর সংখ্যা ১ লক্ষ ৭১ হাজার ছাড়িয়েছে। 


এক নজরে দেশের করোনা চিত্রঃ
দৈনিক আক্রান্ত ১, ৬১, ৭৩৬
দৈনিক মৃত্যু         ৮৭৯
দৈনিক সুস্থ           ৯৭, ১৬৮

মোট  আক্রান্ত    ১,৩৬,৮৯,৪৩৫
মোট সুস্থ             ১,২২, ৫৩,৬৯৭
অ্যাক্টিভ কেস      ১২,৬৪,৮৯৮
মোট মৃত্যু              ১,৭১,০৫৮


মোট টিকাকরণঃ  ১০,৮৫,৩৩,০৮৫

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলির প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ হাজারের বেশি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কেরল। পশ্চিমবঙ্গের স্থান অষ্টম। নতুনভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ায় কমবেশি প্রত্যেকটি রাজ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে প্রতিটা রাজ্যে। সংক্রমণ রুখে চার দিনের টিকা উৎসব শুরু চলছে। শেষ হবে আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী দেশে এখনও পর্যন্ত ১০ কোটিরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। 

এখনও পর্যন্ত দেশে কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ড এই দুটি টিকাকেই জরুরি অনুমোদনের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। নতুন টিকা হিসেবে রাশিয়ার তৈরি স্পুটিনিক ভি টিকাকেও ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তিনটি টিকা ছাড়পত্র পাওয়ায় সংক্রমণের দ্বিতীয় সংক্রমণ রুখে দেওয়া যাবে বলেও আশা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে ৪৫ বছরের বেশি বয়স্কো ব্যক্তিদেরও টিকা প্রদান করা হবে। এখনও পর্যন্ত সকলকে টিকা দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের নেই বলেও জানান হয়েছে। 


করোনাভাইরাসের আক্রান্ত প্রথম দেশ আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩,১৯,৯০,১৪৩। তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটিরও বেশি। ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন সহ ইউরোপের দেশগুলির বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই স্থিতিশীল। তবে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে এশিয়ার দেশগুলিতে।