মাস্ককে বিদায় জানাবেন না- কোভিড কিন্তু যায়নি, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার পরই আর্জি চিকিৎসকদের

কোভিড সংক্রমণ যাতে প্রাথমিক পর্যায়েই রুখে দেওয়া যায় সেই জন্য নতুন করে দেশের মানুষের কাছে মাস্ক পরার আর্জি জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। 

Saborni Mitra | Published : Apr 18, 2022 7:04 AM IST

দেশে নতুন করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ। এই অবস্থায় নতুন করে মাস্ক পরার আবেদন জানিয়েছেন চিকিৎসকর। মহারাষ্ট্রে কোভিড বিধি তুলে নেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে শিথিল করা হয়েছে কোভিড বিধি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও রাজ্যই মাস্ক পরতে নিষেধ করেনি।  তবে অধিকাংশ মানুষই মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই কোভিড সংক্রমণ যাতে প্রাথমিক পর্যায়েই রুখে দেওয়া যায় সেই জন্য নতুন করে দেশের মানুষের কাছে মাস্ক পরার আর্জি জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। 


চিকিৎসকার জানিয়েছেন- বর্তমানে অনেকটাই শক্তি হারিয়ে ফেলেছে কোভিড-১৯এর জীবাণু। কোভিডের নতুন বংশধর XE ভেরিয়েন্ট এখনও পর্যন্ত তেমন ক্ষতিকারক নয়। আর সেই কারণেই অনেকেই করোনাভাইরাস নিয়ে গাফিলতি শুরু করেছেন। উপসর্গ দেখতে পাওয়া গেলেও কোভিড পরীক্ষা করাতে গাফিলতি করছেন। এখন অনেক ক্ষেত্রে কোভিড উপসর্গবিহীন হয়ে গেছে। সেই কারণে নতুন করে এটি দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারছে। তাই এখন থেকেই সাবধান হওয়া জরুরি। তা যদি না হয় তাহলে করোনার জীবাণু নতুন করে বিপদ ডেকে আনতে পারে। 

দিল্লির এলএনজেপি হাসপাতালের প্রবীণ চিকিৎসক জানিয়েছেন , এখনও পর্যন্ত মাস্ককে বিদায় দেওয়ার সময় আসেনি। তাই বাড়ির বাইরে বার হওয়ার সময় মাস্ক পরা অত্যান্ত জরুরি। অন্যদিকে বারবার হাত ধোয়া আর স্যানিটাইজ করা এখনও অত্যাবশ্যক বলেও জানিয়েছেন। 

চিকিৎসক রিতু সাক্সেনা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত নিরাপদ শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার প্রয়োজন রয়েছে। আর সেই কারণ এখনই বড় বড় জমায়েত এড়িয়ে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। অযথা শপিং মল বা সিনেমা হল হোটেল, রেস্তোরাঁ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। অন্য এক চিকিৎসক জানিয়েছেন ট্রেন বা বাসে উঠতে হবে। কিন্তু সর্বদাই সতর্ক হওয়ার জরুরি। আর সেই জন্য মাস্ক পরার প্রয়োজন রয়েছে। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ ১৮৩। রবিবারও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৫০। অর্থাৎ গত এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৮৯.৮ শতাংশ। আক্রান্তের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। দেশে মৃত্যু হয়েছে ২১৪ জন। রবিবার মৃত্যু হয়েছিল মাত্র ৪ জনের।

দৈনিক ইতিবাচকতার হার, জনসংখ্যার মধ্যে সংক্রমণের বিস্তারের একটি সূচক। এই হার গতকাল ০.৩১ শতাংশ ছিল। সেখানে থেকে এদিন নেমে এসেছে ০.৮৩ শতাংশ। তবে সংক্রমণের সংখ্যা ১১হাজার ৫৫৮ থেকে ১১ হাজার ৫৪২তে নেমে এসেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে সবথেকে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে রাজধানী দিল্লিতে। তিন মার্চ থেকে  দেশে নতুন করে বাড়ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ। 
  তিন দিনের গুজরাট সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তাঁর সঙ্গে থাকবেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান
দেশে কোভিড সংক্রমণে কালো ছায়া, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৯০ শতাংশ
সুপ্রিম কোর্টে বড়ধাক্কা বিজেপির, মন্ত্রীপুত্রের জামিনের আবেদন খারিজ করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

Share this article
click me!