লকডাউন নিয়ে অযথা আতঙ্ক নয়, জেনে নিন কী কী জরুরি জিনিস হাতের কাছে রাখা দরকার

Published : Mar 23, 2020, 01:12 PM IST
লকডাউন নিয়ে অযথা আতঙ্ক নয়, জেনে নিন কী কী জরুরি জিনিস হাতের কাছে রাখা দরকার

সংক্ষিপ্ত

সোমবার বিকেল থেকেই পুরোদস্তুর লকডাউনে যাচ্ছে রাজ্য় ওই দিনগুলোতে খোলা থাকবে ওষুধের দোকান, মুদির দোকান তাই বাজার খুললেই অযথা আতঙ্কিত হয়ে কেনাকাটা করতে ছুটবেন না তবে কিছু জিনিস হাতের কাছে রাখুন, তাহলেই আপনার ভয় কাটবে

সোমবার বিকেল থেকেই পুরোদস্তুর লকডাউনে যাচ্ছে গোটা রাজ্য়। তবে তাতে অহেতুক আতঙ্কিত হবেন না। রাজ্য় তথা দেশের বেশিরভাগ মানুষই মেনে নিচ্ছেন যে, এই লকডাউনের খুব জরুরি এই মুহূর্তে। নইলে গোষ্ঠীতে সংক্রমণ একবার ছড়াতে শুরু করলে, করোনা মহামারীর আকার নেবে এদেশে।

দিনকয়েক আগেই সম্ভাব্য় লকডাউনের আশঙ্কায় নিত্য় প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটার হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। যার জেরে খোদ মুখ্য়মন্ত্রীকে পর্যন্ত বলতে হয়েছিল-- আতঙ্কিত হবেন না, দোকানপাট বন্ধ হচ্ছে না।

রবিবার দেশজুড়ে চলা জনতার কারফিউয়ের মাঝেও আমরা জানতে পেরেছি, সোমবার থেকে বিকেল থেকে তালাবন্ধ হতে চলেছে গোটা রাজ্য়। তবে মুদির দোকান, খাবারের দোকান, মাছ-মাংসের দোকান আর ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। তাই সকালে বাজার খুললেই অহেতুক আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করবেন না।  সব সময়ে মাথায় রাখুন, সবকিছু না-হলেও কিন্তু আপনার চলে যাবে। শুধু কয়েকটি জরুরি জিনিস ঘরে থাকলেও হল, ব্য়স।

একেবারে দু-দিন মাসের জন্য় নয়, সপ্তাদুয়েকের চাল-ডাল ঘরে থাকলেই যথেষ্ট। বাঙালির তো চালেডালে খুবই চলে। সঙ্গে কিনে রাখতে পারেন পাঁপড়।  কারণ, বাজারে সবজির জোগান কমলেও কমতে পারে। মাছ-মাংসের দোকান খোলা থাকবে বলে আশ্বাস দিচ্ছে সরকার। সেইসঙ্গে এমনটাই আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে যে,  কালোবাজারি করতে দেওয়া হবে না। তাই নির্ভয়ে থাকুন। তবে দেশজুড়ে লকডাউনের ফলে যদি কাঁচা বাজারের জোগানে কিছুটা টান পড়়ে, তাহলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। নিউট্রিলা, ঘুগনির মটর, রাজমা কিনে রাখতে পারেন। চাইলে কয়েক প্য়াকেট ম্য়াগি বা পাস্তাও কিনতে পারেন। আর হ্য়াঁ, একটু চিঁড়ে, মুড়ি আর খই কিনে রাখতে পারেন। সঙ্গে চানাচুর বা ঝুড়িভাজা। সরষের তেল বাড়িতে না-থাকলে কিনে রাখুন। পারলে একটু ঘি আর গোবিন্দভোগ চাল। জিরে, হলুদ মশলা বাড়িতে আছে কিনা একবার দেখে নিন। একটু শুকনো বাদামও কিনে রাখতে পারেন।

তবে মনে রাখবেন, যা-ই কিনুন না কেন, পরিমিত পরিমাণে কিনবেন। মনে রাখবেন, আপনি আতঙ্কিত হয়ে বেশি কিনলে, আপনার প্রতিবেশীকে কিন্তু না-খেয়ে থাকতে হবে।

বলা হয়েছে ওষুধের দোকান খোলা থাকবে এই দিনগুলোতে। তবু আপনি চাইলে জরুরি কিছু ওষুধ কিনে রাখতে পারেন। মনে রাখবেন, সিজিন চেঞ্জের সময়ে এমনিতেই হাঁচিকাশি লেগে  থাকে। সেইসঙ্গে একটু আধতু গা-হাত-পা ব্য়থাও। তাই হাতের কাছে প্য়ারাসিটামল রেখে দেবেন একপাতা। আপনাকে যদি মাঝেমধ্য়েই অ্য়ান্টি অ্য়ালার্জিক খেতে হয় মাঝেমধ্য়ে, কিনে রাখতে পারেন। এই সময়ে খুব কাজে দেব।  একটা মাথা ধরার মলম বিপদের সময়ে বড় ভরসা হয়ে উঠতে পারে। আর হ্য়াঁ, অনেকেই এই সময়ে একটু বেশিই দুশ্চিন্তা করছেন। স্ট্রেস বাড়তে দেবেন না। যদি বাড়ে তার থেকে গ্য়াস, অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্য় দেখা দেবে। চাইলে কয়েকটা অ্য়ান্টাসিডও কিনে রাখতে পারেন।  তবে আবারও বলছি, ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। তাই যেটুকু ওষুধ হাতের কাছে না-থাকলে ভয়ে আপনার ঘুম হবে না, ঠিক ততটুকুই কিনে রাখবেন।

PREV
click me!

Recommended Stories

মাঠে খেলতে নেমে অনবরত চুইংগাম চিবোন ক্রিকেটাররা, শরীরে কী প্রভাব পড়ে জানেন ?
শীতে দূষণের মাত্রা অতিরিক্ত, সকালে না বিকেলে, কখন হাঁটতে যাওয়া ভালো জানেন?