হিন্দু দর্শনের ছয়টি প্রাচীনতম শাখার অন্যতম হল এই যোগ বা যোগা ভারতবর্ষের যোগাচার্য্যগণ পশ্চিমী দেশসমূহে যোগবিদ্যার প্রচার করেন ১৯৮০ দশকে পাশ্চাত্য দেশসমূহে এটি শরীরচর্চার অঙ্গ হিসেবে জনপ্রিয় হয় লকডাউনের শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত যোগাভ্যাসের পরামর্শ দিচ্ছেন যোগ গুরু সুজা
যোগ বা যোগা ভারতীয় উপমহাদেশে এক প্রকার ঐতিহ্যবাহী শারীরবৃত্তীয় ও মানসিক সাধনপ্রণালী। "যোগ" শব্দটির দ্বারা হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের ধ্যান করাকেও বোঝায়। হিন্দু দর্শনের ছয়টি প্রাচীনতম শাখার অন্যতম হল এই যোগ বা যোগা। জৈনধর্মে যোগ মানসিক, বাচিক ও শারীরবৃত্তীয় কিছু প্রক্রিয়ার সমষ্টি।
ভারতীয় দার্শনিক সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের মতে, পতঞ্জলির যোগসূত্রে যে যোগের উল্লেখ আছে, তা হিন্দু দর্শনের ছয়টি প্রধান শাখার অন্যতম। অন্যান্য যে সব হিন্দু শাস্ত্রগ্রন্থে যোগের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলি হলো উপনিষদ্, ভগবদ্গীতা, হঠযোগ প্রদীপিকা, শিব সংহিতা ও বিভিন্ন তন্ত্রগ্রন্থ।
বিংশ শতকের শুরু থেকে বিভিন্ন সময়ে ভারতবর্ষের যোগাচার্য্যগণ পশ্চিমী দেশসমূহে যোগবিদ্যার প্রচার করেন। ১৯৮০ দশকে পাশ্চাত্য দেশসমূহে এটি শরীরচর্চার অঙ্গ হিসেবে জনপ্রিয় হয়। অবশ্য ভারতীয় পরম্পরায় যোগকে কেবল এক শরীরচর্চার অংগ মাত্র জ্ঞান করা হয় না, এর এক আধ্যাত্মিক এবং ধ্যানের প্রাণ আছে বলে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে লকডাউনের ফলে তাই শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত যোগাভ্যাসের পরামর্শ দিচ্ছেন যোগ গুরু সুজা। শুনে নিন তার পরামর্শ।
এই অভ্যাসের ফলে ক্যান্সার, স্কিৎজোফ্রেনিয়া, হাঁপানি, হৃদরোগ ইত্যাদির ক্ষেত্রে যোগের সুফলতার বিষয়ে বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। এসব পরীক্ষাসমূহের ফলাফল এখনো স্পষ্টভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে, কর্কটরোগের ক্ষেত্রে কিছু পরীক্ষার থেকে জনা গেছে যে যোগাভ্যাস করার ফলে কর্কটরোগ হওয়ার প্রবনতা কমে যাওয়ার এবং কর্কটরোগীর মনস্তাত্বিকভাবে রোগ নিরাময় করার সম্ভাবনা বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।