সংক্ষিপ্ত
- আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- ভেষজ উপাদানেই ভরসা রাখার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রক
- সহজলভ্য ভেষজ উপাদানগুলিকেই বেছে নিয়ে কাজে লাগান
- যে কোনও রকমের সংক্রমণের থেকে নিজেকে রক্ষা করা যাবে
করোনা আতঙ্কের জেরে কার্যত স্তব্ধ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের জন জীবন। এমন অবস্থায় আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। এমন অবস্থায় বাড়িতে থেকেই যত্ন নিতে হবে শরীরের। তাই করোনা রুখতে সচেতনতা ও সতর্কতার জন্য ঘরোয়া ভেষজ উপাদানেই ভরসা রাখার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রক। করোনা সংক্রমণ এড়িয়ে সুস্থ থাকতে আদা, জিরে, ধনে, মধু, হলুদ, রসুন ইত্যাদি সহজলভ্য ভেষজ উপাদানগুলিকেই বেছে নিয়ে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছে আয়ুষ মন্ত্রক।
আরও পড়ুন- স্টে হোমে কীভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবেন, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
আয়ুষ মন্ত্রকের মতে, ঘরোয়া ভেষজ উপাদানগুলিকে কাজে লাগিয়ে নিয়ম মেনে চলতে পারলে শুধু করোনা নয়, যে কোনও রকমের সংক্রমণের থেকে নিজেকে রক্ষা করা যাবে। সুস্থ থাকতে পারবে আপনি ও আপনার পরিবার। তবে এই নিয়মগুলি কোনও ভাবেই করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় সাহায্য করবে না। এগুলি শুধুমাত্র শরীর সুস্থ রাখতে, যে কোনও রকমের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে বলে জানানো হয়েছে। তবে জেনে নেওয়া যাক করোনা দাওয়াই হিসেবে আয়ুষ মন্ত্রকের দেওয়া টোটকাগুলি কী কী...
আরও পড়ুন- স্টে হোমে ওজন কমাতে পাতে রাখুন এই আলু, কমবে মানসিক অবসাদও
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাস যেহেতু নাক, মুখ দিয়েই শরীরে ঢুকে গলার মধ্যে দিয়ে আমাদের ফুসফুসে সংক্রমিত হয় তাই প্রতিদিন গরম জলের ভাপ বা ভেপার নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আয়ুষ মন্ত্রকের চিকিৎসক-গবেষকরা। সেই সঙ্গে আমিষ বা নিরামিষ যেই পদই খান না কেন, রান্নায় জিরে, হলুদ, রসুন আর ধনের গুঁড়ো বা ধনেপাতার মত উপাদান বেশি করে ব্যবহার করুন। এই উপাদানগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে দিনে দু থেকে তিন বার মধু আর লবঙ্গ দেওয়া চা পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিদিন স্নানের আগে কানে ও নাকে নারকেলের তেল বা বিশুদ্ধ খাঁটি ঘি ব্যবহারেরও পরামর্শ দিয়েছে আয়ুষ মন্ত্রক। সারাদিনে যতবার খুশি উষ্ণ জল পানের কথাও বলেছেন তারা। সেই সঙ্গে দুধ চা এর বদলে আদা, পুদিনা, মধু সহযোগে ভেষজ চা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।