কোন কোন কারণে দ্বিতীয়বার ফিরে আসতে পারে করোনা সংক্রমণ, জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মতামত

  • ভারতে রেকর্ড স্তরে বাড়ছে করোনার সংক্রমণের সংখ্যা
  • দ্বিতীয়বার সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন অনেকেই
  • দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার বহু কারণ থাকতে পারে
  • জেনে নিন এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত

Asianet News Bangla | Published : Aug 19, 2020 9:00 AM IST / Updated: Aug 19 2020, 04:56 PM IST

ভারতে রেকর্ড স্তরে বাড়ছে করোনার সংক্রমণের সংখ্যা। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজারের গণ্ডি পেড়িয়ে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমনের শিকার হয়েছে ৬৪ হাজার ৫৩১ জন। এর জেরে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ লক্ষ ৬৭ হাজার ২৭৪ জন। পাশাপাশি  দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাতেও আমেরিকা ও ব্রাজিলের থেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত। 

আরও পড়ুন- দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে না কমছে, কী বলছেন চিকিৎসকরা

এমন এক পরিস্থিতিতে করোনার বিরুদ্ধে শরীরে স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার ঘটনা এখনও গবেষণার নিরিখেই থেকে গিয়েছে। সে বিষয়ে প্রমাণ স্বরূপ কোনও তথ্য এখনও মেলেনি। তবে সাম্প্রতি স্পেনে একটি সমীক্ষার রিপোর্টে জানা গিয়েছে শরীরে স্বাভাবিক ভাবে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে না ওঠা পর্যন্ত করোনা থেকে দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা মেলাও সম্ভব নয়। পাশাপাশি এমন বহু ঘটনা সামনে এসেছে যে দ্বিতীয়বার সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন- ডিমের চেয়ে বেশি প্রোটিন রয়েছে এই ৫ নিরামিষ খাদ্যে, জেনে নিন

বিশেষজ্ঞদের মতে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার বহু কারণ থাকতে পারে। প্রথমবার আক্রান্ত হওয়ার ৬০ দিন পর্যন্ত শরীরের সংক্রমণের মৃত কোষ বা পার্টিকল থাকার সম্ভাবনা থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরটিপিসিআর যন্ত্রে এই মৃত ভাইরাল কোষগুলিও ধরা পড়ে। এমন সময় রিপোর্ট আবার পজিটিভ আসতেই পারে। এই ক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা খুব কম থাকে। এছাড়া অ্যান্টিবডি মাত্র তিন মাসের মতো সুরক্ষা দিতে সক্ষম। তাই অ্যান্টিবডি কমে গেলে পুনরায় ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

আরও পড়ুন- একটানা অনলাইন ক্লাস, শিশুদের মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে

এছাড়া দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে, ভাইরাসের স্ট্রেন পরিবর্তন। ভাইরাস যদি তার চরিত্র পরিবর্তন করে তবে শরীরে অ্যান্টিবডি থাকা সত্ত্বেও অন্য অ্যান্টিজেনের প্রবেশ করা অসম্ভব বিষয় নয়। করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও শিশুদের মধ্যেও প্রদাহজনিত নানা সমস্যা অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম সমস্যাগুলি হল হাতের তালু বার বার ঘেমে ওঠা, জ্বর, সর্দি, ত্বক শুষ্ক হয়ে খোসা ওঠার মতো সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় কাওয়াসাকি ডিজিজ বলা হয়। সাধারণত পাঁচ বছর বা তার থেকেও কম বয়সী শিশুদের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা দেয়। 

Share this article
click me!