সংক্ষিপ্ত
- ফের দ্বিতীয়বার করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে
- সত্যিই কি দ্বিতীয়বার করে করোনায় আক্রান্ত হওয়া সম্ভব
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণেই মারণ ভাইরাস আবারও ফিরে আসছে
- অ্যান্টিবডির স্থায়িত্বও কম থাকায় ফের সংক্রামণের আশঙ্কা বাড়ছে
করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই যেন বাড়ছে। সারা বিশ্ব জুড়ে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে এই করোনা ভাইরাস। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। গতকালই স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে নতুন করে ২৪ ঘন্টায় নোভেল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা যা দাঁড়িয়েছে, সেটাই এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। তবে এর মধ্যে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫.৫১ শতাংশ।
আরও পড়ুন-জোড়া সুখবর, উঠে যাচ্ছে চার্জ, কোটি কোটি গ্রাহকদের বিপুল সুবিধা স্টেট ব্যাঙ্কের...
রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় দ্বিতীয়বার করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ারও খবর এসেছে। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে কেউ হয়তো করোনায় আক্রান্ত হয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেছেন কিন্তু ফের আরটিপিসিআরে তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। উল্লেখ্য বাংলাদেশেরে ক্রিকেটার মাশরফি মোর্তাজার ক্ষেত্রেই এমনটা হয়েছিল। কিন্তু সত্যিই কি দ্বিতীয়বার করে করোনায় আক্রান্ত হওয়া সম্ভব? এই প্রশ্ন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দ্বিতীয়বারও কারোর কারোর ক্ষেত্রে সংক্রমণ ফিরে আসছে। যেমন কারোর ক্ষেত্রে রক্তে ভাইরাসের পরিমাণ কম থাকে প্রথমবারের সংক্রমণে সেই কারণেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। এবং এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণেই এই মারণ ভাইরাস আবারও ফিরে আসছে। এছাড়াও অ্যান্টিবডির স্থায়িত্বও এই সময়ে কম থাকায় ফের সংক্রামণের আশঙ্কা থাকছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন-লকডাউনে বড় ঘোষণা, সেভিংস অ্যাকাউন্টে বিপুল হারে সুদ দিচ্ছে এই ব্যাঙ্কগুলি...
দ্বিতীয়বার করোনার ঝুঁকি নিয়ে সকলেই চিন্তিত। চিকিৎসকেরা আরও জানিয়েছেন, গড়ে ৩ মাস সুরক্ষা দেয় অ্যান্টিবডি। কিন্তু যাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা একদম কম ,তাদের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। এবং সেই কারণেই দ্বিতীয়বার সংক্রমণ ফিরে আসছে। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই গবেষণার প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। দ্বিতীয়বার যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের আরও বেশি করে সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে। এবং প্রথমবার সুস্থ হলেও সমস্ত নিয়মবিধি ভুলে গেলে একদমই চলবে না। সুরক্ষার জন্য যা যা করণীয় সবটাই করতে হবে। মাস্ত ব্যবহার করা থেকে, স্যানিটাইজার, সমস্ত কিছু ব্যবহার করা চালিয়ে যেতে হবে। তবে চিকিৎসকেরা এ বিষয়ে আরও জানিয়েছেন, যেহেতু করেনা ভাইরাস দিনে দিনে তার চরিত্র বদলাচ্ছে সেই কারণে এখনই এই নিয়ে বিশদে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে রিপোর্ট সঠিক আসছে কিনা, সেই বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে। তাহলেই পুরো বিষয়টি অনুধাবন করা যাবে।