প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল খান। সেই সঙ্গে শস্যদানাও খেতে হবে। ফল খেতে হবে। উপোস মানে কিন্তু একেবারে না খেয়ে থাকা নয়।
পুরোদমে পুজো (Durga Puja) শুরু হতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েকটা দিন। অনেকে অবশ্য এখন থেকেই পুজোর আনন্দে গা ভাসিয়ে দিয়ে প্যান্ডেল হপিং (pandal hopping) শুরু করে দিয়েছেন। কিছু কিছু মানুষ আবার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রয়েছেন। কেউ করছেন নতুন হেয়ার কাট (Hair Cut), কেউ চুলে রং করছেন আবার ঘর বাড়ি ঢেলে সাজাতে ব্যস্ত। নতুন পর্দা, নতুন বেডশিট, কুশান কভার সবই কিন্তু ঝাঁ তকতকে। আবার কিছু মানুষ নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ওয়ার্ক আউট (Work Out) করতে ব্যস্ত রয়েছেন। সামনেই পুজো বলে কথা। তাই নিজেকে স্লিম অ্যান্ড ট্রিম দেখানোর জন্য কসরত করছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে ডায়েটেও রয়েছে কড়া নজরদারি।
তবে যাঁরা ওজন কমানোর কথা ভাবছেন তাঁদের এই ৬টা দিন কিন্তু মেপে খাবার খেতে হবে। কারণ শরীরের ডিটক্সিফিকেশন না হলে যেমন ওজন কমে না তেমনই কিন্তু শরীর ঝরঝরে লাগে না। তাই প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল খান। সেই সঙ্গে শস্যদানাও খেতে হবে। ফল খেতে হবে। উপোস মানে কিন্তু একেবারে না খেয়ে থাকা নয়। সময়ে ফল খান, জল খান, পুষ্টিকর খাবার খান। তাই রইল কটা টিপস।
সবজি খান- প্রচুর পরিমাণ সবুজ শাক-সবজি খান। কম তেলে বাড়িতেই নানা রকম তরকারি বানিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে স্যুপ খান, সেদ্ধ করে খান। ভাত, ডাল, শাকভাজা আর সবজি খাওয়ার কিন্তু কোনও বিকল্প নেই। অন্তত একবাটি করে সবজি প্রতিদিন খেতে পারলে খুবই ভালো।
ছোট ছোট মিল খান- যখনই খাবেন তখনই যে প্রচুর পরিমাণে খেয়ে নিতে হবে এমনটা কিন্তু নয়। বরং ছোট ছোট মিল নিন। আর প্রচুর পরিমাণে জল খান। এই দু থেকে ৩ ঘন্টার গ্যাপে খাবার খেলে যেমন কম খাওয়া হয় তেমনই কিন্তু ব্লাড সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে। সেই সঙ্গে শরীরও এনার্জি পায়।
লো-ফ্যাট খাবার খান- এমন কিছু খাবার বাছুন যাতে ফ্যাটের পরিমাণ একদম কম। আর তাই সবচেয়ে ভালো হয় লো ফ্যাট খাবার। ক্রিম মিল্ক, চিজ, মাখন, খুব বেশি ভাজা-ভুজি একেবারেই বাদ রাখুন তালিকা থেকে। ভাতের বদলে ব্রাউন রাইস, মাল্টিগ্রেন আটা ব্যবহার করুন। ভাজা খাবার যত সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
শরীরকে আর্দ্র রাখুন- সব সময় শরীরকে আর্দ্র রাখার চেষ্টা করুন। শুষ্ক হতে দেবেন না। শরীর ড্রাই হলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। ফল খান, জল খান, লিকার চা, গ্রিন টি এসব খান। ডাবের জল খান। নিয়মিত একটা করে ডাবের জল কিন্তু শরীরের অনেক রকম উপকারে আসে। আর জল খেলে কিন্তু ওজনও কমে তাড়াতাড়ি।
ওয়ার্কআউট- ওয়ার্ক আউট করতে কিন্তু একদম ভুলবেন না। প্রতিদিন নিয়ম করে ওয়ার্ক আউট করতেই হবে। অন্তত ৩০ মিনিট ঘাম না ঝরালে যতই ডায়েট করুন না কেন কোনও ফলই কিন্তু পাবেন না। সকালে ৩০ মিনিট মর্নিং ওয়াক বা ইভিনিং ওয়াকও সঙ্গে রাখুন। দিনে ৩০০ ক্যালোরি ঝরাতে পারলে শরীর থাকবে সুস্থ।