বর্ষাকালে সাবধান হয়ে থাকার প্রয়োজন বেশি। আর তারজন্য দৈন্দদিন জীবনে কতগুলি নিয়ম মেনে চলতে হয়। যাতে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা যেমন কম থাকে তেমনই শরীর থাকবে তাজা আর ঝরঝরে।
বর্ষা শুরু হয়েছে গেল। আর্দ্রতা আর শুষ্ক তাপমাত্রার মধ্যে ক্রমাগত পরির্তনের জন্য এই সময়টা যেকোনও মানুষেরই অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি থাকে। তাই বর্ষাকালে সাবধান হয়ে থাকার প্রয়োজন বেশি। আর তারজন্য দৈন্দদিন জীবনে কতগুলি নিয়ম মেনে চলতে হয়। যাতে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা যেমন কম থাকে তেমনই শরীর থাকবে তাজা আর ঝরঝরে। কারণ বর্ষাকালে আবহাওয়ার দরুন প্রায়ই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
নিয়মগুলি হল-
১. অল্প করে খাবার তৈরি করুন। যাতে সবসময় তাজা খাবার খেতে পারেন। বর্ষাকালে খাবার সময়মত ফ্রিজে না রাখতে আর্দ্রতার কারণে খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নাহলে জীবাণুর সংখ্যাবৃদ্ধি পেতে পারে।
২. অপরিষ্কার খাবার এড়িয়ে চলুন। বছরের এই সময়টা কাঁচা খাবার না খাওয়াই ভাল। তবে ফল খাওয়া জরুরি। তারণ অধিকাংশ ফলই শরীরে রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। তাই ফল বা যেকোনও কাঁচা খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই তা ভাল করে ধুয়ে নেবেন। বর্ষাকালে মাছ বা মাংস নির্দিষ্টতাপমাত্রায় ভালো করে রান্না করতে হবে।
৩. বছরের এই সময়টা জাঙ্ক বা তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। বর্ষাকালা আমাদের সবার মধ্যেই ভাজাভুজি খাবার প্রবণতা বাড়ে। তাই ইচ্ছে হলে বাড়িতে তৈরি করে গরম করে তা খান। না হলে পেটের সমস্যা হতে পারে। আর যেখাবর বেশি নাড়াচাড়া করে রান্না করা হয় সেগুলি খান।
৪. বর্ষাকালে বাইরের জল ভুলেও পান করবেন না। তাতে জীবাণু থাকতে পারে। পারলে জল ফুটিয়ে পান করুন।
৫. ফল বা সবজি ভালো করে ধুয়ে ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে বেশ কিছু সবজি নুন জলে ভিজিয়ে তারপর তা কেটে রান্না করুন। আলু যাতে নষ্ট না হয় তারজন্য ফ্রিজে রাখতে পারেন।
৬. বর্ষাকালে প্রচুর পরিমাণে জল খান। আর বেশি করে ঘুমান। বর্ষকালে এমনিতেই ঘুম ঘুম ভাব থাকে। তাই নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুমের প্রয়োজন হয়। বাড়িতে থাকলে অবশ্যই ফলের জুস আর সরবত খেতে পারেন। কিন্তু এই সময়টা পথের খাবার একদম এড়িয়ে চলুন।