ইনস্টাগ্রামে আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডিক্সা ভাবসার সাভালিয়া জানিয়েছেন কীভাবে বীজ বা দানা নিত্যদিন খেলে আপনি উপকার পাবেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি ক্যাপশন দিয়েছেন বীজ সাইক্লিং হল আপনার মাসিক চক্রের দুটি প্রধান পর্যায়।
যেকোনও দানারই খাদ্যগুণ অপরিসীম। তাই আর দেরি না করে 'বীজ সাইকেল' অর্থাৎ বীজচক্র, নিত্যদিন বীজ খাওয়ার অভ্যাস শুরু করতে পারেন। এই পদ্ধতি যদি একবার রপ্ত করে নিতে পারেন তাহলে অবশ্যই উপকার পাবেন। তবে এই পদ্ধতিতে সবথেকে বেশি সুফল পাবেন মহিলারা। মাসিক চক্র অনুযায়ী বীজ খাওয়ার মাধ্য়মে একজন মহিলার খুব সহজেই নিজের হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের কথায় হরমোন নিয়ন্ত্রণের এটি একটি সহজ উপায়।
ইনস্টাগ্রামে আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডিক্সা ভাবসার সাভালিয়া জানিয়েছেন কীভাবে বীজ বা দানা নিত্যদিন খেলে আপনি উপকার পাবেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি ক্যাপশন দিয়েছেন বীজ সাইক্লিং হল আপনার মাসিক চক্রের দুটি প্রধান পর্যায়। নির্দিষ্ট বীজ খওয়ার অভ্যাস আপনার মাসিক চক্রের প্রথমার্ধে ইস্ট্রোজেনের স্বাস্থ্যকর ভারসাম্যকে উন্নীত করতে সাহায্য করে। আর দ্বিতীয়ার্ধে প্রোজেস্টেরকে উন্নত করতে সাহায্য করবে।
বীজচক্র বা বীজ সাইক্লিনিং চালাতে মূলত চার ধরনের বীজ লাগবে। সেগুলি হল কুমড়ো, তিল, শণ আর সূর্যমুখীর বীজ। বিশেষজ্ঞের কথায় মহিলাদের মাসিক চক্রের দুটি প্রধান পর্যায়ের সঙ্গে এই বীজচক্র যুক্ত রয়েছে। এই চক্রের প্রথম ১৪দিন ফুলিকুলার ফেজ তৈরি করে। আর পরবর্তী ১৪ দিন লুটেল ফেজ গঠন করে। যখন মহিলাদের হরমোনের মাত্রার ভারসাম্যপূর্ণ হয়। তখন চক্রের প্রথামার্ধে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর দ্বিতীয়ার্ধে বাড়ে প্রোজেস্টেরণের মাত্রা। এইদুটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় মহিলাদের নানারকম মানসিক আর শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। তাই গোটা মাস বীজচক্রের অধীনে থাকলে এই সমস্যাগুলি নিজেথেকে দূর হয়ে যাবে।
বীজ খাওয়ার সময় প্রথম ১৩-১৪ দিন ফুলিকুলার ফেজ। এই সময় এক টেবিল চামচ তাজা শেণ ও কুমড়োর বীজ খাতে হবে। তারপর ১৪ দিনের পর থেকে প্রথম মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম দিন পর্যন্ত প্রতিদিন এক চামচ সূর্যমুখী ও তিলের বীজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আর যেসব মহিলা মনোপজ বা মনোপজ মধ্যবর্তী পর্যায়ে রয়েছেন - আর্থাৎ যাদের নিয়মিত পিরিয়েড হয় না তারা অমাবস্যা পূর্ণিমা দেখে বীজ খাওয়া শুরু করুন। পূর্ণিমার সময় তাঁরা শেণ আর কুমড়ো দানা খান, বাকি সময় সূর্যমুখী আর তিল দানা তাঁদের জন্য উপকারী।
বিশেষজ্ঞদের কথায় বীজচক্র হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে বলে এটি ব্রণ, পেটব্যাথ, অস্বস্তিসহ একাধিক অসুস্থতা সারিয়ে দিতে পারে। যদি ১৩-১৪ বছর বয়স থেকে এজাতীয় বীজচক্রে আপনি অভ্যস্ত হতে পারে তাহলে বান্ধত্বের সমস্যা থাকবে না। ওজন হ্রাস পাবে। পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্য সুন্দর হবে। এইবীজ চক্র শরীরে জলের অভাব অনেকটাই পুরণ করতে পারেষ