মানসিক অস্থিরতার সময় সহজে ঘুমিয়ে পড়ার টোকটকা, অবশ্যই মেনে চলুন

বিশেষজ্ঞদের কথায় মানসিক প্রতিক্রিয়াগুলি কার্যকরভাবে তৈরি ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই ঘুম তখনই আসে যখন- আমাদের মন স্থির থাকে। কিন্তু আর মন স্থির না থাকলে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। মানসিকভাবে আপনি যখন অস্থির থাকেন বা রাতের পর রাত জেগে কাটান আপনি তখন দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন। তাই বিশেষজ্ঞদের কথায় ঘুম মানসিক প্রশান্তি আনে- তখনই কোনও দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। 

Web Desk - ANB | / Updated: Mar 23 2022, 05:45 AM IST

আপনি উদ্বিগ্ন হয়ে রাতের পর রাত কাটাচ্ছেন- কিন্তু কোনও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। এমন সময় আপনার কাছের মানুষ আপনাকে ঘুমিয়ে (Sleep) পড়ার পরামর্শ দেন। তিনি হয়তো কিছু না ভেবেই এই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু এর পিছনেও একটি বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। এক কথায় বললে বলা ভালো- ঘুম - কোনও ব্যক্তির আবেগের পরিস্থিতি ও আমাদের প্রতিক্রিয়াকে (emotions and reactions) প্রভাবিত করে। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Helath) পরিচালনা করতে সাহায্য করে। ঘুম আর আবেগ পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞদের কথায় মানসিক প্রতিক্রিয়াগুলি কার্যকরভাবে তৈরি ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই ঘুম তখনই আসে যখন- আমাদের মন স্থির থাকে। কিন্তু আর মন স্থির না থাকলে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। মানসিকভাবে আপনি যখন অস্থির থাকেন বা রাতের পর রাত জেগে কাটান আপনি তখন দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন। তাই বিশেষজ্ঞদের কথায় ঘুম মানসিক প্রশান্তি আনে- তখনই কোনও দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। 


বিশেষজ্ঞদের কথায় ঘুম কমে গেলে দিনের বেলাও চাপমুক্ত হয়ে কাটান যায় না। বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় দেখা  গেছে ঘুমের ফলে আমাদের আবেগুলি পরিচালনা করার জন্য কম কার্যকর উপায় বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। কোনও একটি সমস্যা সমাধানে আপনার যদি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে তাহলে তার আগে আপনাকে অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে। তবে তা শুধু শারীরিক বিশ্রাম হলেই হবে না। মানসিক বিশ্রামও জরুরি।  

ঘুমেরও কতগুলি সেরা উপায় রয়েছে
১. ঘুমানোর আর জেগে ওঠার সময় স্থির রাখুন। অর্থাৎ একই সময় ঘুমানো চেষ্টা করুন। তেমনই একই সময় ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা  জরুরি। ঘুমের সময় পরিবর্তন করলে সমস্যা তৈরি হয়। 
২. সকালে অনেকটা সময় প্রকৃতির সঙ্গে কাটান। যা আপনার মনকে রিফ্রেস করবে। মানসিক প্রশান্তি ফিরিয়ে দেবে। 
৩. অ্যালকোহল, নিকোটিন, ক্যাফেইন- এজাতীয় পদার্থ সেবন করা এড়িয়ে চলুন। 
৪. ঘুমানের আগে নিজেকে শান্ত করুন। তার জন্য প্রয়োজনে মেডিটেশন করতে পারেন। শোয়ার ঘরকে আরামদায়ক করে তুলেন। 

Share this article
click me!