অতিরিক্ত ওজন শরীরে বয়ে নিয়ে আসে একগাদা রোগ। চিন্তার শেষ থাকে না অনেকেরই।
অতিরিক্ত ওজন নিয়ে আতঙ্কে থাকেন অনেকেই। আতঙ্ক হওয়ারই কথা। অতিরিক্ত ওজন শরীরে বয়ে নিয়ে আসে একগাদা রোগ। চিন্তার শেষ থাকে না অনেকেরই। যাদের ওজন বেশি তারা খাওয়া নিয়ে আতঙ্কে থাকেন। কম খেয়ে ওজন কমাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এমন উদাহরণও কম নয়। তাছাড়া ব্যায়াম করতে গিয়ে অতিরিক্ত শরীরচর্চা করেও বিপাকে পড়তে হয়। এতে ওজন তো কমেই না বরং শরীরিক জটিলতা ভর করে।
কিন্তু জানেন কী, রোজকার রুটিনে কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করে অতিরিক্ত ওজন থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। এগুলো যে খুব বড়সড় অভ্যাস, তা কিন্তু নয়। ছোট ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই অভ্যাসগুলো বদলে দেখুন, কীভাবে ওজন কমতে শুরু করে।
দুপুরের খাবার একেবারেই বাদ দেবেন না বা সময়ের অভাবে না খেয়ে থাকবেন না। মানে সময়ের খাবার সময়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। না খেয়ে থাকলে শরীরের ওজন না কমে উল্টে বাড়ে।
কর্মক্ষেত্রে যারা দীর্ঘ সময় বসে বসে কাজ করেন তারা অন্তত ৩০ মিনিট পর পর কিছুক্ষণ হাঁটার অভ্যাস করুন। এক জায়গায় বসে থাকার চেয়ে ৫০০ স্টেপস হাঁটুন। এতে চর্বি ঝরবে সহজেই। সঙ্গে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে।
যারা নিয়মিত ফলের রস পান করেন, তারা চেষ্টা করুন গোটা ফল খাওয়ার। কারণ তাতে ফাইবার সমৃদ্ধ থাকে।
অতিরিক্ত ওজনের ক্ষেত্রে চিনি ভীষণ ক্ষতিকর। প্রতিদিন যদি খাবারের তালিকা থেকে চিনি বাদ দেন, তাহলে ওজন কমার লক্ষ্যে খুব ভালো ফল পাবেন। প্রয়োজনে চিনির বদলে খাঁটি গুড় খেতে পারেন অল্প করে।
ঠাণ্ডা জল নয়, বরং পান করুন হালকা গরম জল। এতে ওজন কম রাখতে সাহায্য করে। হালকা গরম জল পানে শরীরের টক্সিন দূর হয়ে যায় এবং মেটাবলিজম বাড়তে থাকে।
রাত করে বেশি খাবার কখনো খাবেন না। রাত ৮ থেকে ৯টার মধ্যে হালকা পাতলা সহজে হজম হয় এমন কিছু খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম খুব দরকার। এবং সূর্যোদয়ের অন্তত এক থেকে দুই ঘণ্টা পর ওঠার অভ্যাস করুন। ঘুমের সময় দেহ ডিটক্সিফাই হয়, সে কারণেই সঠিক পরিমাণে ঘুমনোর দরকার।
সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন স্বল্প পরিমাণে ব্যায়াম কিংবা শরীরচর্চা করা ভীষণ প্রয়োজন। সেটা যোগব্যায়াম হোক কিংবা হাঁটা বা জিমে গিয়ে শরীরচর্চা। যেটা ভালো লাগে করার চেষ্টা করবেন।