এই সমস্যার সমাধানের জন্য একগাদা এন্টিবায়েটিক না খেয়ে প্রথমেই কাজে লাগান ঘরোয়া এই টোটকা। জেনে নিন শীতকালে ঠাণ্ডা-সর্দির সমস্যা থেকে মুক্তির এই অব্যার্থ ঘরোয়া টোটকা-
শীতকাল শুরু হওয়ার আগে, আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় অনেকেই নানান সমস্যার সম্মুখীন হয়। বিশেষ করে এই সময় ইমিউনিটি কম থাকলেই সর্দি বা ঠাণ্ডা লাগার সমস্যায় ভুগতে দেখা যায় ছোট থেকে বড় অনেককেই। তাই এই সমস্যার সমাধানের জন্য একগাদা এন্টিবায়েটিক না খেয়ে প্রথমেই কাজে লাগান ঘরোয়া এই টোটকা। জেনে নিন শীতকালে ঠাণ্ডা-সর্দির সমস্যা থেকে মুক্তির এই অব্যার্থ ঘরোয়া টোটকা-
শীতকালে গুড় এবং গোলমরিচ স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। এটি সেবনের ফলে শীতকালীন নানা সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি মেলে। কারণ গুড় ও গোলমরিচ এই দুই উপাদানই শরীর গরম করতে সাহায্য করে। এর সাহায্যে সর্দি-কাশি ও সংক্রমণের মতো সমস্যা দূর করা যায়। অন্যদিকে, গোলমরিচ এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতেও কার্যকর। এমন অবস্থায় আপনি চাইলে শীতকালে প্রতিদিন গুড় ও গোলমরিচ খেতে পারেন। জেনে নেওয়া যাক একসঙ্গে গুড় ও গোলমরিচ খাওয়ার উপকারিতা-
গোলমরিচ এবং গুড় খাওয়ার সুবিধাগুলি-
ঠাণ্ডা-সর্দি থেকে মুক্তি পান- গোলমরিচ ও গুড় একসঙ্গে খেলে ঠাণ্ডা-সর্দির সমস্যা দূর হয়। এটি একসাথে সেবন করতে, এক বাটি দই নিন। এতে এক টুকরো গুড় এবং এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো দিন। এরপর দিনে দুবার এটি সেবন করুন, এতে করে ঠাণ্ডা-সর্দির সমস্যা দূর হয়।
গলা ব্যথা থেকে মুক্তি- ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন গোলমরিচ। অন্যদিকে, গুড় এবং গোলমরিচের মিশ্রণ গলা ব্যথার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। এর জন্য প্রথমে ৮০ গ্রাম গুড়ের গুঁড়া তৈরি করুন। এর মধ্যে ২০ গ্রাম কালো গোলমরিচ, ১০ গ্রাম যবের গুঁড়ো, ২০ গ্রাম পিপ্পলি এবং ৪০ গ্রাম ডালিমের ছাল নিন। এই সব ভালো করে পিষে নিন, এবার এই মিশ্রণের ছোট ছোট ট্যাবলেট তৈরি করুন। এরপর এই ট্যাবলেটগুলো দিনে তিনবার হালকা গরম দলে খেলে গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন- Health Tips : দেহের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তা, প্রতিদিন নিয়ম করে করুন এই কাজ