শিশুদের সঙ্গে লড়াইয়ে পারছে না করোনাভাইরাস, কারণ নিয়ে ধন্ধে সংক্রমণ বিশেষজ্ঞরা

  • করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে
  • করোনা আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা খুবই কম 
  •  এটা ঘটনা হলেও স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই বিশেষজ্ঞদের কাছে
  • তবে আক্রান্তদের বেশীরভাগ ৪০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে  

চিনে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জন্মের মাত্র এক দিন পর এক নবজাতক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। ওই শিশুর চিকিৎসা শুরু হওয়া মাত্রই সেই খবর সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। চিনে করোনা ভাইরসের আক্রমণ শুরু হওয়ার পর এটি যেমন সবচেয়ে কম বয়সে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা, পাশাপাশি সবথেকে মর্মস্পর্ষি। 
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও মৃত ও আক্রান্তদের অধিকাংশই চিন দেশের মানুষ। এর বাইরে আরও ৩০টি দেশে এই ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা খুবই কম। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, শিশুরা কেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে না?
করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে। সেখানে করোনা ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল উহানের জিনইনতান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের রোগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্লেষণ করা আছে। 
রিপোর্টে দেখা গেছে যে, ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকের বেশী সংখ্যক মানুষের বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। মাত্র ১০ শতাংশ রোগী ৩৯ বছরের কম বয়সী। আর শিশু নেই বললেই চলে। গবেষকরা বলছেন, শি’শুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঘটনা বিরল।
তবে শিশুরা যে করোনায়  আক্রান্ত হচ্ছে না সে ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কোনও সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেন নি। ভাইরাস স’ম্পর্কিত বিজ্ঞান বা ভাইরোলজি বিশেষঙ্গরা কেবল জানাচ্ছেন,  শিশুরা হয় সংক্রমণ এড়িয়ে যাচ্ছে, তা না’হলে তারা মারাত্মক সংক্রমণের শিকার হচ্ছে না। তার মানে কারণ পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। কিন্তু এটা ঘটনা এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত এবং মৃতদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা নগন্য।  
এই বিষয়ে একমত বহু ভাইরোলজি বিশেষঙ্গরা জানাচ্ছেন, পাঁচ বছরের বেশি বয়সী এবং কিশোরদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বিশেষভাবে কাজ করে। তারা হয়ত আক্রান্ত কিন্তু তাদের সংক্রমণটা হালকা বা তাদের মধ্যে সংক্রমণের কোনও উপসর্গ থাকে না।
শি’শুদের মধ্যে সংক্রমণের এই প্রবনতা আগেও দেখা গেছে। ২০০৩ সালে চিনে সার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় ৮০০ মানুষ মারা গিয়েছিল। তবে শিশুদের সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়লেও সেই হারে শি’শুদের আক্রান্তের ঘটনা নেই। এখানেও সার্সের উদাহরণ টানা যায়। যে সব গবেষকরা আক্রান্ত শিশুদের খতিয়ে দেখছেন তারা বলছেন যে, হাসপাতালে ১২ বছরের কম বয়সীদের সংখ্যা কম।
যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন না যে, শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে না। এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য, এই প্রাদুর্ভাব হয়ত সেই রোগগুলোর মধ্যে একটি যা শিশুদের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্কদের মারাত্মকভাবে সংক্রমিত করে, যেমন জলবসন্ত। 

Share this article
click me!

Latest Videos

খাদান নিয়ে Dev কে বিশ্রী আক্রমণ রাজের, দেবের পাশে দাঁড়িয়ে পাল্টা দিলেন Aritra Dutta Banik
'তৃণমূলের দুয়ারে সরকার এখন দুয়ারে জঙ্গি', তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর | Suvendu Adhikari
Suvendu Adhikari: 'কত বড় জিহাদি, রামনবমীর মিছিলে ঢিল মেরে দেখাও', হুঙ্কার শুভেন্দুর
'যেসব মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদেরই পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিল' বিস্ফোরক অর্জুন
পুলিশের তৎপরতায় বানচাল ডাকাতির প্ল্যান! গ্রেফতার ২ অপরাধী, চাঞ্চল্য Birbhum-এ