মশাবাহিত রোগ এবং করোনার সংক্রমণের কিছু লক্ষণ প্রায় একই, জানুন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

  • পালিত হচ্ছে বিশ্ব মশা দিবস
  • স্যার রোনাল্ড রসের স্মরণে উদযাপন করা এই বিশেষ দিন
  • ১৯৩০ সালে বিশ্ব মশা দিবস উদযাপন শুরু হয়
  • করোনার পাশাপাশি মশাবাহিত রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা জরুরী

deblina dey | Published : Aug 20, 2020 9:50 AM IST

এদিনে পালিত হচ্ছে বিশ্ব মশা দিবস, ব্রিটিশ চিকিত্সক স্যার রোনাল্ড রসের স্মরণে উদযাপন করা এই বিশেষ দিন, যা ১৮৯৭ সালে প্রমাণ করেছিল যে মশারাই ম্যালেরিয়া জন্য দায়ী। এর পরে, বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা এই কাজ শুরু করেছিলেন এবং অনেক নতুন নতুন বিষয় প্রকাশিত হয়েছিল। লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিন ১৯৩০ সালে বিশ্ব মশা দিবস উদযাপন শুরু করে। মশা মানুষের স্বাস্থ্যের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে সেই সম্বন্ধে শুরু হয় গবেষণাও।

আরও পড়ুন- দেশে প্রথমবার কন্ঠস্বর শুনে করা হবে কোভিড টেস্ট, কয়েক মুহূর্তেই মিলবে ফলাফল

মশাবাহিত রোগগুলি সাধারণত বর্ষায় বেশি ছড়িয়ে পড়ে। তবে কোভিড এর সময়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হ'ল মশার কামড়ের লক্ষণগুলি ও করোনার সংক্রমণের মধ্যে তফাৎ খুঁজে বের করা। কারণ মশাবাহিত বেশিরভাগ রোগের লক্ষণ হল কোভিড এর মত। করোনা এবং ডেঙ্গু, অন্যতম উপসর্গগুলি হল মাথা এবং  গায়ে হাত-পায়ে ব্যথা এবং জ্বর হয়। এছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের দুর্বলতার কারণে বিধি না মানলে সহজেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি এই উভয় রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা অনেকাংশে বেশি এবং পরিস্থিতি বিপদজনকও হতে পারে। তাই করোনার পাশাপাশি মশাবাহিত রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা জরুরী।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: 

এই সময় সর্বদা দুটি মাস্ক একসাথে রাখুন, বাড়ির তৈরি খাবার খান, ঠান্ডা খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও আবহাওয়াতে, যে কোনও সময় কোভিড ছড়িয়ে পড়তে পারে। সুতরাং, এটি এড়াতে নির্দিষ্ট বিধি বা নিয়ম পালন করতে হবে। 
পাশাপাশি নজর রাখতে হবে বৃষ্টি ভিজা মাস্ক ব্যবহার না করাই ভাল। তাই এই সময় বাইরে বেরোলে অতিরিক্ত মাস্ক সঙ্গে রাখুন। বৃষ্টির সময়েও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। 
রাতে মশারি ব্যবহার করুন। বাড়ির আশেপাশে বৃষ্টির জল জমতে দেবেন না। 
নিজের যত্নের পাশাপাশি বাড়ির চারপাশও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। এলকায় কোথাও ময়লা বেশি জমে থাকলে নিকটবর্তী পৌরসভা বা মিউনিসিপ্যালিটিতে খবর দিন। 
কারণ এই দিনে নিজে সুস্থ তখনই থাকবেন যখন পরিবেশ সুস্থ থাকবে।
কোনওভাবে অসুস্থ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে তবেই ওষুধ খান। নিজের মতে কোনও ওষুধ খাবেন না।

Share this article
click me!