করোনা নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে কি মানুষ বিভ্রান্ত করছেন? গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এবার সিপিএম বিধায়ক ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল হাওড়ায়। অভিযুক্ত বাম নেতা জানিয়েছেন, 'কে অভিযোগ করেছেন, আমি জানি না। দেশের লোক জানে কী হচ্ছে, তথ্য গোপন করলে আমাদের রাজ্যের বিপদ হচ্ছে, রাজ্যের বদনাম হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: পশ্চিম মেদিনীপুরে এক দিনে সাতজন করোনা পজেটিভ, উদ্বেগে স্বাস্থ্য দফতর
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে থেকে ভিডিও কনফারেন্সের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও করছেন তিনি। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা কত? এখনও পর্যন্ত কতজনইবা মারা গিয়েছেন? কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেব মানতে রাজি নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। এই প্রেক্ষাপটেই করোনা নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ উঠল যাদবপুরের সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। তাঁর এফআইআর করা হয়েছে থানায়।
আরও পড়ুন: লকডাউনে বাড়ি না ছাড়ার শাস্তি, ভাড়াটিয়ার জল-বিদ্য়ুত বন্ধ করে দিল বাড়িওয়ালা
আরও পড়ুন: লকডাউনের বাজারে ভরসা গাছ, 'ওয়ার্ক ফ্রম ট্রি' করছেন বাঁকুড়ার যুবক
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে এক মহিলা মারা যান। তিনি কি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন? সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট গিয়ে তেমনই দাবি করেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। স্থানীয় জগৎবল্লভপুর-২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রঞ্জন কুণ্ডুর অবশ্য দাবি, ওই মহিলার মোটেও করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। ডেথ সার্টিফিকেটেরও মারণ রোগের কথা উল্লেখ নেই। শুধু তাই নয়, সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে থানায়। অভিযোগকারীর দাবি, রাজ্য সরকার যখন সাধারণ মানুষকে গুজব না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ করছেন, তখন খোদ বিরোধী দলের বিধায়কই ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।
এদিকে এই ঘটনায় অবশ্য দলের বিধায়কের পাশেই দাঁড়িয়েছেন সিপিএমের হাওড়া জেলা সভাপতি বিপ্লব মজুদার। তাঁর দাবি, জগৎবল্লভপুরে যে মহিলা মারা গিয়েছেন, তাঁর শেষকৃত্য করোনা আক্রান্তের মতোই করা হয়েছে। আইন আইনের পথেই চলবে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুজন চক্রবর্তীও। এর আগে করোনা সতর্কতায় প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করে বিপাকে পড়েছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারও। তিনি আবার পেশায় চিকিৎসকও বটে। সাংসদের বিরুদ্ধেও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এফআইআর করেছিলেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা।