সন্দীপ মজুমদার, হাওড়া: দু'দিন ধরে বাবার দেহ আগলে রাখল মেয়ে! ফের রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটল হাওড়ায়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দাসনগরে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য।
আরও পড়ুন: থানার অদূরে ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ. চাঞ্চল্য চোপড়ায়
মৃতের নাম অমলকৃষ্ণ মান্না। পেশায় তিনি ছিলেন চোখের ডাক্তার, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে থাকতেন দাসনগরের ইছাপুর শিয়ালডাঙা এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন অমলবাবু। বাড়ির বাইরে সচরাচর বেরোতেন না। মঙ্গলবার সকালে এলাকায় দুর্গন্ধবেরোচ্ছিল। কী ব্যাপার? সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। বাড়ি থেকে অমলবাবুর দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, দিন দুয়েক আগে মারা যান তিনি। চিকিৎসক বাবার দেহ আগলে ঘরে বসেছিল মেয়ে! ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মৃতের মেয়ে বিয়ে করেননি। তিনি মানসিক অবসাদের শিকার। কীভাবে মারা গেলেন ওই চিকিৎসক? তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য। করোনা সংক্রমণ কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শোক নামল সীমান্তে, কর্মরত অবস্থায় নিজের গুলিতে আত্মঘাতী বিএসএফ জওয়ান
এদিকে এই ঘটনা উস্কে দিয়েছে পাঁচ বছর আগে রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের স্মৃতি। ২০১৫ সালে সেই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। জানা গিয়েছিল, পার্ক স্ট্রিটের রবিনসন স্ট্রিটের বাড়িতে মৃত বোনের সঙ্গে কয়েক মাস কাটিয়েছেন পার্থ দে নামে এক ব্যক্তি। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে ওই তরুণীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় পার্থের বাবার দেহ। এমনকী, বাড়ি দুটি পোষা কুকুরকেও মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।