সন্দীপ মজুমদার, হাওড়া: চাপা উত্তেজনা ছিলই, বাগনানকাণ্ডে মৃতার দেহ পৌঁছতেই ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। অভিযুক্ত কুশ বেরার বাড়ির সামনে দেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর আগে আবার উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালত চত্বরে মৃতদেহ আটকে রেখে চলে বিক্ষোভ।
আরও পড়ুন: গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা, মালদহে 'অনির্দিষ্টকালে'র জন্য বন্ধ হয়ে গেল বিডিও অফিস
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতের। বাগনানের গোপালপুর গ্রামে শীতলাতলায় বাড়ির ছাদে বসে মোবাইলে গেম খেলছিলেন এক কলেজ ছাত্রী। তখন কুশ বেরা ও শোভন মণ্ডল নামে এলাকারই দুই যুবক তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, চিৎকার শুনে যখন ছাদে উঠছিলেন, তখন অভিযুক্তেরা ওই তরুণীর মা-কে সিঁড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আঘাত লাগে আক্রান্তের মাথায়। ওই মহিলাকে প্রথমে ভর্তি করা হয় বাগনান হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোগীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় উলুবেড়িয়া হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। নির্যাতিতার মা-কে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। ঘটনার প্রতিবাদে দীর্ঘক্ষণ মুম্বই রোড অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অবরোধ শামিল হলেন বিজেপি দুই সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও সৌমিত্র খাঁ।
বৃহস্পতিবার সকালে যখন ওই গৃহবধূর দেহ নিয়ে বাগনানের গোপালপুর গ্রামে পৌঁছন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্র পাল, তখন পরিস্থিতি ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। মৃতদেহ সটান অভিযুক্ত কুশ বেরার বাড়ির সামনে জমায়েত করেন স্থানী.বাসিন্দারা। শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। শুধু তাই নয়, কুশের দাদার বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের লক্ষ্য করে পাল্টা কাঠারি ছোঁড়ে মূল অভিযুক্তের ছেলে। কাটারি আঘাতে একজনের পা কেটে গিয়েছে। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এর আগে সকালে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে মর্গ থেকে দেহটি আনা হয় আদালতে। সেখানেও দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান বিজেপি যুব মোর্চার সদস্যরা।
আরও পড়ুন: নদীর জলোচ্ছ্বাসে উল্টে গেল জেসিবি মেশিন,কী হল চালকের
উল্লেখ্য, বাগনানকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কুশ বেরা-সহ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালতে। দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে কুশ।