গুরুতর অসুস্থ না হলে আর হাসপাতালে যাওয়ারও প্রয়োজন নেই। ফোনেই রোগীর বাড়ির লোককে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে দেবেন চিকিৎসকরা। লকডাউনে বাজারে এবার 'ডক্টরস অন কল' চালু হল হাওড়ার বাগনানের মুগকল্যাণ ব্লক হাসপাতালে। এই পরিষেবা চালুর প্রক্রিয়া চলছে গ্রামীণ হাওড়ার অন্য হাসপাতালগুলিতেও।
আরও পড়ুন: 'করোনা রোগী'র চিকিৎসার করার মাশুল, সামাজিক বয়কটের মুখে ডাক্তার ও নার্সরাইজমায়েত করার তো প্রশ্নই উঠে না। করোনা আতঙ্কে এখন বাড়ির বাইরে বেরনোরও উপায় নেই। মঙ্গলবারই লকডাউনের সময়সীমা ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। ফলে আপাতত গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। পরিস্থিতি এমনই যে, হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না! আবার হাসপাতালে রোগীর ভিড় বাড়লে তো বিপদ। তাহলে উপায়? হাওড়ার বাগনানের মুগকল্যাণ ব্লক হাসপাতালে চালু হয় 'ডক্টরস অন কল' পরিষেবা। বাগনান দুই নম্বর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক বিনয় রায় জানিয়েছেন, হাসপাতালে আসতে হবে না, ফোনেই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া যাবে। প্রয়োজন হলে আশাকর্মীদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে বাড়িতে। আর তাতেও যদি কাজ না হয়, তখন রোগীকে হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করা হবে। প্রতিদিন সকাল ন'টা থেকে দুপুর বারোটা ও সন্ধ্যা ছ'টা থেকে রাত ন'টা পর্যন্ত মিলবে 'ডক্টরস অন কল' পরিষেবা।
আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যের যুবকের মৃত্যুতে বন্ধ আইসোলেশন ওয়ার্ড, আতঙ্ক ছড়াল রামপুরহাটেআরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসায় ফের সাফল্য, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মেদিনীপুরের যুবকবাগনানের মুগকল্যাণ ব্লক হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা ৬২। বাগনানের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা তো বটেই, শ্যামপুর থেকে বহু মানুষ চিকিৎসা করাতে আসেন এই হাসপাতালে। তাঁদের বেশিভাগই আবার দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস করেন। সকলেই যাতে উন্নত পরিষেবা পান, তা নিশ্চিত করতে সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে্ন বাগনান দুই নম্বর ব্লকের বিডিও সুমন চক্রবর্তী।