'করোনা রোগী'র চিকিৎসার করার মাশুল, সামাজিক বয়কটের মুখে ডাক্তার ও নার্সরাই

  • ব্রেন টিউমারে আক্রান্তের শরীরে মিলল করোনা সংক্রমণ
  • সামাজিক বয়কটের মুখে চিকিৎসক ও নার্সরা
  • নার্সিংহোমে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা
  • ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহরে

Tanumoy Ghoshal | Published : Apr 14, 2020 7:41 AM IST / Updated: Apr 14 2020, 01:12 PM IST


করোনা আতঙ্কের মাঝে নয়া বিপত্তি। ব্রেন টিউমারে আক্রান্তের চিকিৎসা করে এবার সামাজিক বয়কটের মুখে পড়লেন চিকিৎসক-সহ নার্সিংহোমের ১২৭ জন কর্মী! রেহাই পাননি তাঁদের পরিবারের লোকেরাও। হুলুস্থুল কাণ্ড মেদিনীপুর শহরে।

আরও পড়ুন: বিশ্বে প্রথম ভাইরাস দিয়ে খুনের ঘটনা হাওড়া স্টেশনে, যার সঙ্গে জুড়ে আছে ব্যোমকেশের কাহিনি

ঘটনার সূত্রপাত ২ এপ্রিল। ব্রেন টিউমারের সমস্যা নিয়ে মেদিনীপুর শহরের একটি নার্সিংহোম ভর্তি হন অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুল শিক্ষক। পশ্চিম মেদিনীপুরেরই দাঁতনের শাউরি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। দিন কয়েক পরে রোগীকে ওড়িশায় নিয়ে চলে যান পরিবারের লোকেরা। ভর্তি করা হয় সেখানকার একটি নার্সিংহোমে। অবসরপ্রাপ্ত ওই স্কুল শিক্ষকের করোনা ধরা পড়ে। ঘটনাটি জানার পরই নড়েচড়ে বসেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। করোনা ধরা পড়ার আগে অবসরপ্রাপ্ত ওই স্কুল শিক্ষক মেদিনীপুরের শহরের যে নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন, সতর্কমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ডায়ালেসিস ইউনিট বাদে সেই নার্সিংহোমের সমস্ত পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু হলে কী হবে! চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী যে বাড়ি ফিরতে পারছেন না! সংক্রমণের ভয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এমনকী, সামাজিক বয়কটের মুখে পড়েছেন পরিবারের লোকেরাও। নার্সিংহোমে ডিরেক্টর পার্থ মণ্ডল বলেন, 'আমার সকলেই আতঙ্কিত। বাড়ি ফিরতে না পেরে বন্ধ নার্সিংহোমেই আশ্রয় নিয়েছি। অনেকে লজ ভাড়া নিয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় মানুষদের আপত্তিতে থাকতে পারেননি।' পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ চলে বলে জানা গিয়েছে। 



আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে ছবি হাতিয়ার, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে টাকা দিতে চায় স্কুলছাত্রী

আরও পড়ুন: আর অপেক্ষা নয়, বিহার থেকে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছেন নদিয়ার ফেরিওয়ালারা

উল্লেখ্য, মার্চ মাসে শেষের দিকে প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে পশ্চিম মেদিনীপুরে। মুম্বই থেকে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন দাসপুরের নিজামপুর গ্রামের এক যুবক। মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকাকালীন করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে তাঁরা। কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই যুবক। সুস্থ বাড়ি ফিরেছেন রবিবার। 










 

Share this article
click me!