নেতাজির উক্তি আজও অনুপ্রাণিত করে যুব সমাজকে, রইল দেশনায়কের ১০টি উক্তি

ছোট থেকেই বৈপ্লবিক মানসিকতা (Mentality) ছিল তাঁর মধ্যে। তিনি তাঁর সারা জীবন দেশের নামে উৎসর্গ করেন এবং শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন। রইল তাঁর ১০টি অনুপ্রেরণামূলক উক্তি। যেগুলো দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলতেন। 

Sayanita Chakraborty | Published : Jan 23, 2022 7:20 AM IST

দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhas Chandra Bose) ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৯৭ সালে জানকীনাথ বসু ও প্রভাবতী দেবীর পুত্র হিসেবে জন্ম হয় সুভাষচন্দ্র বসুর। ছোট থেকেই বৈপ্লবিক মানসিকতা (Mentality) ছিল তাঁর মধ্যে। তিনি তাঁর সারা জীবন দেশের নামে উৎসর্গ করেন এবং শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন। রইল তাঁর ১০টি অনুপ্রেরণামূলক উক্তি। যেগুলো দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলতেন। 
১. তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।
২. রাজনৈতিক দর কষাকষির রহস্য হল আপনি আসলে যা আছেন তার চেয়ে বেশি শক্তিশালী দেখা। 
৩. আমাদের আজ আকটাই আকাঙ্খা থাকা উচিত- মরার ইচ্ছা যাতে ভারতে বেঁচে যাতে। একজন শহীদের মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার আকাঙ্খা, যাতে শহীদের রক্তে স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত হয়। 
৪. স্বাধীনতা দেওয়া হয় না, নেওয়া হয়। 
৫. আলোচনার মাধ্যমে ইতিহাসের কোনও বাস্তব পরিবর্তন কখনো সাধিত হয়নি। 
৬. অন্যায়ের সঙ্গে আপস করাই সবচেয়ে বড় অপরাধ। মনে রাখবেন, পেতে হলে দিতে হবে। 
৭. আমাদের সাময়িক পরাজয়ে হতাশ হবেন না। প্রফুল্ল এবং আশাবাদী হন। ভারতের ভাগ্যের প্রতি বিশ্বাস হারাবেন না। 
৮. সংগ্রাম না থাকলে জীবন তার অরধেক আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। 
৯. পৃথিবীতে এমন কোনও শক্তি নেই যা ভারতে বন্ধনে রাখতে পারে। 
১০. যে সৈনিকরা সর্বদা তাদের জাতির প্রতি বিশ্বস্ত থাকে, যারা সর্বদা তাদের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকে, তারা অপরাজেয়। 

১৮৯৭ সালে কটকের বসু পরিবারে জন্ম হয় সুভাষচন্দ্র বসুর। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত কটরে একটি ইংরেজি স্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি। এরপর রাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন। ১৯১১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় কলকাতা থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। তারপর স্কটিশ চার্চ কলেজে ভর্তি হন। ছাত্রাবস্থা থেকে তিনি তাঁর দেশপ্রেমিক সত্তার জন্য পরিচিত ছিলেন। এরপর কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ভালো ফল পেয়েও চাকরিতে যোগ দেননি। বিপ্লব-সচেতন দৃষ্টিভঙ্গির জন্য সেই নিয়োগপত্র প্রত্যাখ্যান করেন। প্রথমে কাগজে লেখালেখি করতেন। পরে বঙ্গীয় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রচারের দায়িত্বে যুক্ত হন। পরে তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন। তাঁর সংগ্রাম আজও বিশেষ জায়গা নিয়ে আছে ইতিহাসের পাতায়।

আরও পড়ুন: গান্ধীজির সঙ্গে বোসের মতের অমিল ছিল বিস্তর, নেতাজির পিছনে লাগানো হয়েছিল গুপ্তচর, জেনে নিন এমন অজানা কাহিনি

আরও পড়ুন: ইংরেজির ৫ সংখ্যা দিয়ে আঁকুন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের ছবি, জেনে নিন ছবি আঁকার পদ্ধতি
 

Read more Articles on
Share this article
click me!