সংক্ষিপ্ত
কংগ্রেসে যোগ দিলেও মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Ghandhi) সঙ্গে তাঁর মতের অমিল হত। যে কথা বার বার উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস নেতা গান্ধীজি সত্যাগ্রহে বিশ্বাসী ছিল। কিন্তু, নেতাজি কোভার্ট অপারেশনে বিশ্বাস করতেন। এই নিয়ে দুজনের মতের অমিল ছিল বিস্তর।
দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhas Chandra Bose) ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী। আজ সন্ধ্যা ৬টায় ইন্ডিয়াগেটে বসবে নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন সেই মূর্তি।
১৮৯৭ সালে জানকীনাথ বসু ও প্রভাবতী দেবীর পুত্র হিসেবে জন্ম হয় সুভাষচন্দ্র বসুর। ছোট থেকেই বৈপ্লবিক মানসিকতা ছিল তাঁর মধ্যে। তিনি তাঁর সারা জীবন দেশের নামে উৎসর্গ করেন এবং শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত কটরে একটি ইংরেজি স্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি। এরপর রাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন। ১৯১১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় কলকাতা থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। তারপর স্কটিশ চার্চ কলেজে ভর্তি হন। ছাত্রাবস্থা থেকে তিনি তাঁর দেশপ্রেমিক সত্তার জন্য পরিচিত ছিলেন। এরপর কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন।
দেশে ফিরে তিনি বঙ্গীয় প্রদেশ কংগ্রেসে (Congress) যোগ দেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি সোচ্চার ভুমিকা পালন করেন। কিন্তু, তাঁর সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর মানসিকতার তফাত ছিল বিস্তর। তিনি কংগ্রেসে যোগ দিলেও মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Ghandhi) সঙ্গে তাঁর মতের অমিল হত। যে কথা বার বার উঠে এসেছে। নেতাজির জীবনী ঘাটলে জানা যায় এমন অজানা তথ্য। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস নেতা গান্ধীজি সত্যাগ্রহে বিশ্বাসী ছিল। কিন্তু, নেতাজি কোভার্ট অপারেশনে বিশ্বাস করতেন। এই নিয়ে দুজনের মতের অমিল ছিল বিস্তর। জানা যায়, কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন বটে। কিন্তু, তাঁর সব ধারণা দলের নীতির সঙ্গে মিলত না। এমনকী, কংগ্রেস দলের অনেক সদস্য নেতাজির বিরুদ্ধে ছিলেন। জানা যায়, নেতাজির পিছনে গুপ্তচর লাগিয়েছিল কংগ্রেস। নেতাজির সব কাজে ওপর নজরদারি করা হত। যা নেতাজি নিজেও বুঝতে পারতেন। কিন্তু, গুপ্তচরদের (Spy) নজর এড়িয়ে নিজের কাজে বার বার সফল হন নেতাজি। তবে, গুপ্তচরদের খবরের জন্য বোসকে হাজতবাসও করতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Subhas Chandra Bose Jayanti: নেতাজির মূর্তি উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, পালিত হবে পরক্রম দিবস
আরও পড়ুন: ইংরেজির ৫ সংখ্যা দিয়ে আঁকুন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের ছবি, জেনে নিন ছবি আঁকার পদ্ধতি
জানা যায়, নেতাজি গোপনে জার্মান কনসোলেটের সঙ্গে দেখা করতেন। দেশ স্বাধীন করার লক্ষে জার্মান কনসোলেটের সঙ্গে বোসা আলাপচারিতা (Discursion) করতেন। যা খুব একটা ভালো চোখে দেখত না কংগ্রেস সদস্যরা। একাধিক বিষয় মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে বোসের মতের অমিল ছিল। ব্রিটিশ ছাড়াও কংগ্রেসের অন্তর দ্বন্দ্বে তিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন। গান্ধীর অনুগামীরা তাঁর কাজে বার বার বাঁধা সৃষ্টি করছিলেন। তিনি শেষে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন এবং অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করেন।