আইআইএমএ-র প্রথম ফ্যাকাল্টি, আমেরিকা থেকে পিএইচডি - তবু এই বিদূষীর পরিচয় ছিল রক্ষিতা

পড়াশোনা করেছিলেন শান্তিনিকেতনে

তারপর আমেরিকা থেকে পিএইচডি

দেশে ফিরে হাত লাগিয়েছিলেন আইআইএমএ প্রতিষ্ঠায়

তবু ডক্টর কমলা চৌধুরি পরিচিতি, বিক্রম সারাভাই-এর রক্ষিতা

 

Asianet News Bangla | Published : Dec 17, 2020 5:10 PM IST / Updated: Dec 17 2020, 10:49 PM IST

ইতিহাস বরাবরই পুরুষ ঘেষা। বিজ্ঞান, রাজনীতি, শিল্প সংস্কৃতি - সব ক্ষেত্রেই নারীদের অবদান কোণঠাসা করে রাখা হয়।  পুরুষ আধিপত্য়ের পৃথিবী যেসব মহিলা মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন, তাঁদেরও চেষ্টা করা হয় কালিমালিপ্ত করতে। ঠিক এমনটাই ঘটেছিল ডক্টর কমলা চৌধুরীর ক্ষেত্রে। ১৯১১ সালে প্রতিষ্ঠিত আহমেদাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের প্রথম শিক্ষক ছিলেন তিনি। তাও, তাঁকে আইআইএএম মনে রেখেছে বিশিষ্ট ভারতীয় বিজ্ঞানী তথা আইআইএমএ-র প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম, বিক্রম সারাভাই-এর রক্ষিতা বা উপপত্নী হিসাবে।

১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ সালে  ডক্টর কমলা চৌধুরীর শততম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আইআইএমএ-র এক প্রাক্তন ছাত্র তাঁর জীবন এবং কাজ নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, কমলা চৌধুরীর সমসাময়িক পুরুষ সহকর্মীদের সম্পর্কে যতটা  বেশি জানা যায়, তার প্রায় কিছুই জানা যায় না, এই বিদূষী মহিলা সম্পর্কে। পেশাদার জীবনের বৃহত্তর অংশ জুড়ে তাঁকে সহ্য করতে হয়েছিল লিঙ্গবৈষম্য। পরবর্তীকালেও তা থেকে বের হতে পারেননি আইআইএমএ-র 'প্রতিষ্ঠাতা মা', কমলা।

ডক্টর কমলা চৌধুরির জন্ম হয়েছিল অবিভক্ত ভারতের লাহোরে। পড়াশোনা করেছিলেন বাংলার শান্তিনিকেতনে। তারপর ১৯৪৯ সালে তিনি আমেরিকার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামাজিক মনোবিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। দেশে ফিরে অন্যান্য পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আইআইএম আহমেদাবাদের। কিন্তু, সব ভুলে এতদিন পর্যন্ত আইআইএম তাঁকে সমনে রেখেছিল শুধুই বিক্রম সারাভাই-এর রক্ষিতা হিসাবে।

তবে, বছরের পর বছর বিস্মৃত থাকার পর শতবর্ষে এসে কিছুটা হলেও কপাল খুলেছে ডক্টর কমলা চৌধুরীর। আইআইএমএ-র আর্কাইভ এবং কমিউনিকেশন বিভাগ তাঁর জীবন নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে। তবে তা মাত্র ৮ মিনিট দীর্ঘ। কারণ তার থেকে বেশি তথ্য তাঁর জদীবন ও কাজ সম্পর্কে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তহৃবে যা জানা গিয়েছে, তাতে এটা নিশ্চিত যে, আইআইএমএ তৈরির পিছনে একেবারে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় ছিলেন তিনি। এমনকী লিঙ্গবৈষম্য না থাকলে তিনিই হচতে পারতেন এই বিশ্বখ্যাত ইনস্টিটিউটের প্রথম ডিরেক্টর।

Share this article
click me!