দেশের ১২৫টি জেলা পড়তে চলেছে খরার মুখে, আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্যে বাড়ছে আতঙ্ক

১৪ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত সাম্প্রতিক স্ট্যান্ডার্ডাইজড রেসিপিটেশন ইভাপোট্রান্সপিরেশন ইনডেক্স (SPEI) ডেটা, জলের চাহিদার বাড়ছে, অন্যদিকে তীব্র গরমে কমছে জলস্তর।

Parna Sengupta | Published : Apr 19, 2024 8:49 AM IST / Updated: Apr 19 2024, 03:10 PM IST

শুধু ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলই ক্রমবর্ধমান শুষ্ক অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছে না, আনুমানিক ১২৫টি জেলাও খরার সম্মুখীন হতে চলেছে। পুনেতে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর (IMD) থেকে সংগৃহীত তথ্য থেকে দেশজুড়ে এই প্রবণতা উঠে এসেছে। ১৪ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত সাম্প্রতিক স্ট্যান্ডার্ডাইজড রেসিপিটেশন ইভাপোট্রান্সপিরেশন ইনডেক্স (SPEI) ডেটা, জলের চাহিদার বাড়ছে, অন্যদিকে তীব্র গরমে কমছে জলস্তর।

২০২৩ সালে এই সময় খরার মতো পরিস্থিতি ভারতে যে সংখ্যক জেলায় ছিল, সেই ৩৩ টি জেলার থেকে এবার বেশি সংখ্যক জেলা রয়েছে এই তালিকায়। ফলে পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ আরও বেশি বাড়ছে। যে সমস্ত জেলা এই খরার মতো পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেগুলি, অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, গুজরাট, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তরাখণ্ড, তামিলনাড়ুর জেলা। এই এলাকাগুলির ১২৫ জেলা শুষ্ক থেকে শুষ্কতম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আইএমডির বিজ্ঞানী রাজীব চট্টোপাধ্যায় বলছেন, এই জেলাগুলিকে ড্রাই ক্যাটেগরিতে রাখা হয়েছে যার মান SPEI এ ১ এর কম। প্রসঙ্গত, SPEI দিয়ে জলের চাহিদায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাবের হিসাব করা হয়। 

এদিকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা কিছু এলাকার জন্য জারি করেছে আইএমডি। এই ভয়াবহ গরমে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ওড়িশায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। ২১ এপ্রিল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। জানা গিয়েছে ২০২৩ সালের থেকে ২৭৯ শতাংশ বেশি সংখ্যক খরার মতো পরিস্থিতি সম্পন্ন এলাকা ২০২৪ সালে রয়েছে। ভাবছেন, এটা শুধু এপ্রিলের কথা? না! এই পরিসংখ্যান মার্চের ১৪ থেকে ১০ এপ্রিলের মধ্যের সময়ের। যে এলাকাগুলিতে এই ১২৫ টি জেলা রয়েছে, সেগুলির মধ্যে ২৩ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকা রয়েছে। ফলে চলতি বছরে খরার আশঙ্কা গরমের শুরু থেকেই রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!