
নয় বছর আগে অপহরণ করা হয়েছিল পূজা গৌড় নামের সাত বছর বয়েসী এক শিশুকে। শনিবার সেই কিশোরীকে বাড়ি ফেরাল ইন্টারনেট। অবাক নাগলেও, ঘটনাটা সত্যি। মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে জুহুর বস্তি এলাকায় তার বাড়ির খুব কাছে থাকা এক প্রতিবেশি দম্পতি ৭ বছর বয়সী পূজা গৌড়কে অপহরণ করেছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ডিএন নগর থানায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের ব্যুরোর দায়িত্বে থাকা সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর রাজেন্দ্র ভোসলে বলেন যে ২০১৩ সালে ওই শিশুকে অপহরণ করা হয়। যে দম্পতি শিশুটিকে অপহরণ করে, তাদের বাড়ির গৃহকর্ম সহায়িকা মেয়েটিকে ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করেন বলে তথ্য মিলেছে। যে ব্যক্তি মেয়েটিকে অপহরণ করেছিল, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই দম্পতিকে ১০ই অগাষ্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমকে পূজার অপহরণের গল্প ব্যাখ্যা করে, তার ভাই রোহিত বলেছেন যে ২০১৩ সালের ২২শে জানুয়ারি স্কুলে যাওয়ার পথে এসব ঘটে। তিনি বলেন "আমরা একসাথে স্কুলের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম। আমি একটু সামনে হাঁটছিলাম। তবে বোন পিছিয়ে পড়ছিল। একটু পরে ওর সঙ্গে হাঁটার জন্য আমি ফিরে যাই, কিন্তু আমি তাকে দেখতে পেলাম না। আমি স্কুলে গিয়েছিলাম এবং একটি ক্লাস হওয়ার পর আমি তার ক্লাসরুমে যাই। ক্লাস টিচারকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম পূজা পৌঁছেছে কিনা তিনি আমাকে জানান যে পূজা আসেনি স্কুল।"
পুলিশ সূত্রে খবর হ্যারি ডি’সুজা এবং তার স্ত্রী সোনি পূজাকে অপহরণ করেন এবং তাকে মুম্বইয়ের বাইরে একটি জায়গায় লুকিয়ে রাখে। পরে যখন তাদের নিজেদের সন্তান হয়, তখন ফের পূজাকে নিয়ে জুহু ফিরে যান। পূজা ছোটবেলার স্মৃতি খুব বেশি মনে করতে না পারায় নিজের জন্মস্থানও চিনতে পারেনি। তবে পরে সে জানতে পারে, এই দম্পতি তার আসল বাবা মা নন।
পরে, পূজা তার ২০১৩ সালের নিখোঁজ পোস্টারের মাধ্যমে তার নিজের বাবা মায়ের কাছে পৌঁছয়। এই পোস্টার সে ইন্টারনেটে খুঁজে পেয়েছিল। পোস্টারে দেওয়া নম্বরে ফোন করে পূজা এবং প্রতিবেশীর সাথে যোগাযোগ করে। তার মা তাকে চিনতে পারে। নিজের পরিবার ফিরে পায় পূজা। দম্পতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ডি’সুজাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।