প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে যে স্বনির্ভর ভারত অভিযানের আওতায় দেশে প্রতিরক্ষা উত্পাদনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। নতুন সিদ্ধান্তে ভারতে উৎপাদিত সামগ্রীর ৬৫ শতাংশ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহের পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকার দেশে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির উত্পাদনের জন্য কাজ করছে, এর মাধ্যমে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক ডজনেরও বেশি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি চিহ্নিত করেছে, যার উৎপাদন দেশেই সম্ভব। দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানিও করা যাবে এগুলি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, এই প্রযুক্তিগুলির মধ্যে রয়েছে AK 203 রাইফেল, ৬০ মিমি মর্টার, আকাশ এবং ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র, ধানুশ বন্দুক, ৫২ ক্যালিবার বন্দুক, ৩০ মিমি টুইন ব্যারেল এয়ার ডিফেন্স বন্দুক, এলসিএ তেজস, হেলিকপ্টার এবং অনেক ছোট অস্ত্র। এর মধ্যে কিছু অস্ত্র তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে, কিছু প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে যে স্বনির্ভর ভারত অভিযানের আওতায় দেশে প্রতিরক্ষা উত্পাদনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। নতুন সিদ্ধান্তে ভারতে উৎপাদিত সামগ্রীর ৬৫ শতাংশ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে প্রযুক্তি রপ্তানির ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। এই বছর, ভারতের প্রতিরক্ষা রপ্তানি ১৩ হাজার কোটিতে পৌঁছেছে, যেখানে ২০১৫-১৬ সালে এটি ছিল মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা।
সূত্রের খবর, ভারত এ ব্যাপারে চিনের কৌশল নিয়ে কাজ করছে। উল্লেখ্য, চিন বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ প্রতিরক্ষা ক্রেতার মধ্যে এবং শীর্ষ পাঁচটি রপ্তানিকারকের মধ্যে রয়েছে। অস্ত্র আমদানির দিক থেকে ভারত শীর্ষ পাঁচে থাকলেও রপ্তানিতে ২৪তম স্থানে রয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, নেপাল, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইথিওপিয়া, সৌদি আরব, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, স্পেন, শ্রীলঙ্কা, মিশরে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলি দ্বারা প্রতিরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা উৎপাদন বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে
১. পর্যায়ক্রমে ২০৯টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এগুলো দেশেই তৈরি হবে।
২. দেশেই ২৫০০টি খুচরো এবং সাব-সিস্টেম তৈরি করা শুরু হয়েছে।
৩. স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিরক্ষায় ৭৪ শতাংশ এফডিআই এবং ১০০ শতাংশ সরকারি রুট অনুমোদন করা হয়েছে
৪. সশস্ত্র বাহিনীর জন্য প্রতিরক্ষা সংগ্রহের ৬৫% ভারতে করা হবে।