পাণ্ডুয়ার হাতানি গ্রামের ১৮ জন আদিসাবী সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁরা রাইসিনা হিলসে দ্রৌপদী মুর্মুকে স্বাগত জানিয়েছে আদিবাসী নৃত্যে পরিবেশন করেন।
দেশের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানর মধ্যেই প্রথা মেনে রাষ্ট্রপতির শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন পাণ্ডুয়ার হাতানি গ্রামের ১৮ জন আদিসাবী সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁরা রাইসিনা হিলসে দ্রৌপদী মুর্মুকে স্বাগত জানিয়েছে আদিবাসী নৃত্যে পরিবেশন করেন।
কোনোদিন আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেনি ওরা, পায়ের তলার তপ্ত মাটিই ওদের বাস্তব চেনায়। ওঁরা মামনি সরেন, বাসন্তী মান্ডি সোহাগী মুর্মু। পাণ্ডুয়ার হাতনি গ্রামের বাসিন্দা। সেখানেই থেকে রাইসিনা হিলসে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাত্রা। হঠাৎই সুযোগ এলো দীর্ঘ এই পথ পাড়ী দেওয়ার। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে।
দিল্লী জায়গাটার কথা শুনেছেন, তা বলে যাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেনি মামনি সরেনরা। দ্রৌপদী মুর্মু প্রথম আদিবাসী মহিলা শপথ নিলেন, আর এই অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী নাচ গানের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি কে সম্মান জানালেন হাতনি গ্রামের আঠারো জন আদিবাসী। সেই জন্যই তাঁদের দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মামনি সোরেনদের এই দিল্লি যাত্রায় তাঁদের গ্রাম খুশির হাওয়া। এই ছোট্ট গ্রামের নাম দিল্লীর রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্তাদের মুখে মুখে ফিরছে। তাঁদের আনন্দিত তাঁরা। রাষ্ট্রপতিভবনের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে তাঁদের গ্রুপ ছবিও তোলা হয়েছে। যা দেখে গ্রামবাসীরা আরও বেশি আহ্লাদিত।
গ্রামের আঠারো জন সেখানে অনুষ্ঠান করেছে, সর্বপরি দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি হয়েও তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন। যা তাঁদের কাছে বাড়তি পাওয়না। আদিবাসী সমাজের বড় গর্বের দিন, মনের মাঝে এক অনাবিল ছন্দ.... হাতনি গ্রামের সারি সারি দেওয়া মাটির বাড়িতে কান পাতলে একটাই গুঞ্জন আমরা পেরেছি, আমরা পারি অনন্ত সুখের সাগরে প্রবাহ হতে।