মাঙ্কি পক্সের ভাইরাস চিনবে ভারতীয় টেস্ট কিট, জিনস্‌ টু মি-এর দুর্দান্ত আবিষ্কার

ভারতীয় সংস্থা জিনস্‌ টু মি প্রাইভেট লিমিটেড ঘোষণা করেছে, তারা মাঙ্কিপক্স ভাইরাস দ্রুত শনাক্তকরণের জন্য রিয়েল টাইম পিসিআর ভিত্তিক কিট তৈরি করছে। ডায়াগনস্টিক কোম্পানিটির দাবি, তাদের তৈরি এই কিটটি ৫০ মিনিটের মধ্যেই ভাইরাস শনাক্ত করে ফেলতে পারবে। 

Sahely Sen | / Updated: Jul 26 2022, 02:35 PM IST

২৬ জুলাই ২০২২, মঙ্গলবার ভারতীয় সংস্থা জিনস্‌ টু মি প্রাইভেট লিমিটেড ঘোষণা করেছে, তারা মাঙ্কিপক্স ভাইরাস দ্রুত শনাক্তকরণের জন্য রিয়েল টাইম পিসিআর ভিত্তিক কিট তৈরি করছে। ডায়াগনস্টিক কোম্পানিটির দাবি, তাদের তৈরি এই কিটটি ৫০ মিনিটের মধ্যেই ভাইরাস শনাক্ত করে ফেলতে পারবে। 

কোম্পানির প্রেস বিবৃতি অনুসারে, এই কিটটি সাধারণভাবে যেকোনও রিয়েল টাইম পিসিআর যন্ত্র এবং পয়েন্ট-অফ-কেয়ার ফর্ম্যাটের জিনস টু মি র‍্যাপি কিউ এইচ টি র‍্যাপিড আরটি পি সি আর ডিভাইস, দুটি সংস্করণেই উপলব্ধ।

"পয়েন্ট-অফ-কেয়ার সমাধানটি হাসপাতাল, বিমানবন্দর, ডায়াগনস্টিক ল্যাবস, হেলথ ক্যাম্প, ইত্যাদি সহ একাধিক সাইটে স্ক্রীনিংয়ের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে," কোম্পানি জানিয়েছে।

সম্প্রতি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) দ্রুত ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কি পক্সের প্রাদুর্ভাবকে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কারণে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৭৫টিরও বেশি দেশে ১৬ হাজারেরও বেশি মাঙ্কিপক্সের রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
"জিনস টু মি-র বিজ্ঞানীরা একটি একক টিউব মাল্টিপ্লেক্সের প্রতিক্রিয়ার দ্বারা ভেরিসেলা জোস্টার ভাইরাস ( যাকে চিকেন পক্সের কারণ বলা হয়), তার থেকে মাঙ্কি পক্সের ভাইরাসকে বিশেষ পার্থক্যের মাধ্যমে শনাক্তকরণের জন্য "POX-Q মাল্টিপ্লেক্সড RTPCR কিট" তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন৷ এটি প্রথম ধরনের 'মেড ইন ইন্ডিয়া' পণ্য, এই কিটটি শুধুমাত্র গবেষণার ব্যবহার (RUO) হিসাবে পাওয়া যায় এবং গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ট্যাকমান রসায়ন ভিত্তিক RTPCR পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে এটিকে প্রস্তুত করা হচ্ছে", জানিয়েছে জিনস টু মি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মাঙ্কি পক্সের ভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য নমুনা হিসেবে অবশ্যই প্রয়োজন ত্বকের ক্ষত উপাদান, যার মধ্যে থাকবে ক্ষত অংশের শুকনো বা ভিজে তরল। তাই, মাঙ্কি পক্স শনাক্তকরণের জন্য, ভিটিএমে রাখা শুকনো সোয়াব এবং সোয়াব উভয়ই ব্যবহার করা যেতে পারে।

“এই অভূতপূর্ব সময়টি স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রস্তুতিতে ডায়াগনস্টিক অ্যাসেসের গুরুত্ব বোঝায়। আমরা এই ভাইরাসকে ঠেকানোর জন্য সময়ের আগেই প্রস্তুত থাকতে চেয়েছিলাম। সময়ের মূল্য বোঝার কারণেই আমরা মাঙ্কি পক্সের ভাইরাস চিনতে এই RTPCR পরীক্ষা চালু করেছি। এটা সবচেয়ে আগে নির্ভুলতার সাথে ৫০ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে ফলাফল জানিয়ে দেবে। জিনস টু মি সর্বদা গুরুতর স্বাস্থ্য পরিস্থিতির মোকাবিলার ক্ষেত্রে নজির সৃষ্টিকারী সমাধান নিয়ে আসার চেষ্টা করে যা যেকোনও স্বাস্থ্য জরুরী পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে সেরে উঠতে সাহায্য করতে পারে। এক সপ্তাহে ৫ মিলিয়ন টেস্ট কিট তৈরি করার ক্ষমতা বর্তমানে আমাদের আছে, তবে অতিরিক্ত চাহিদার সাথে এটিকে দিনে ২ মিলিয়ন টেস্ট পর্যন্ত পৌঁছনো যেতে পারে”, জিনস টু মি-এর সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা মিঃ নীরজ গুপ্তা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানিয়েছেন যে, জিনস টু মি টিম SARS-CoV-2-এর জন্য নির্দিষ্ট ৩টি টার্গেটের কভারেজ করেছিল। এরাই প্রথম মেড-ইন-ইন্ডিয়া কোভিড-19 এক্সট্রাকশন ফ্রি RTPCR কিট হিসাবে "RT-ডাইরেক্ট" চালু করেছিল যেটা এর চেয়েও কম সময়ে ফলাফল দেয়।

আরও পড়ুন- 
বাড়ছে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা, সুস্থ থাকতে মাথায় রাখুন এই জরুরি তথ্য
এবার মাঙ্কিপক্সের থাবা দেশের রাজধানীতে, হিমাচল প্রদেশ থেকে আসা ব্যক্তির শরীরে মিলল উপসর্গ
দেশে প্রথম মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জারি করল বিশেষ সতর্কতা

Share this article
click me!