ই-কমার্সের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কারণে ভারতে অনলাইন শপিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়ছে মানুষ। এর ফলে মুদির দোকানগুলির ব্যবসায় ব্যাপক ধাক্কা লেগেছে। গত এক বছরে ২ লাখেরও বেশি মুদির দোকান বন্ধ হয়ে গেছে, একটি সমীক্ষায় এমনটাই উঠে এসেছে।
দেশে ই-কমার্স সংস্কৃতি বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ অনলাইন শপিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়ছে, এর ফলে মুদির দোকানগুলির ব্যবসায় ব্যাপক ধাক্কা লেগেছে। গত এক বছরে ২ লাখেরও বেশি মুদির দোকান বন্ধ হয়ে গেছে বলে একটি সমীক্ষায় জানা গেছে। ৪ লাখেরও বেশি সরবরাহকারীর সংগঠন 'অখিল ভারত গ্রাহক পণ্য সরবরাহকারী সংগঠন' এই সমীক্ষাটি চালিয়েছে। দেশে ই-কমার্স শিল্প ব্যাপকভাবে বিকাশ লাভ করার পর এটিই প্রথম ব্যাপক সমীক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে।
সমীক্ষা অনুসারে, মহানগরগুলিতে মাসিক গড় ৫.৫ লক্ষ টাকা লেনদেনকারী ১৭ লক্ষ দোকান রয়েছে, যার মধ্যে ৪৫% বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে, মাসিক গড় ৩.৫ লক্ষ টাকা লেনদেনকারী ১২ লক্ষ দোকান রয়েছে টিয়ার ১ শহরগুলিতে, সেখানে ৩০% দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। টিয়ার ২ শহরগুলিতে ২৫% দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। দেশে মোট ১.৩ কোটি মুদির দোকান রয়েছে। এর মধ্যে টিয়ার ১ শহর অর্থাৎ বড় শহরগুলিতে ১২ লক্ষ দোকান রয়েছে, টিয়ার ২ এবং টিয়ার ৩ শহরগুলিতে বাকি ১ কোটিরও বেশি মুদির দোকান রয়েছে।
সমীক্ষা প্রতিবেদন সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সরবরাহকারী ইউনিয়ন বলছে, 'সুপার মার্কেটগুলিকেও টেক্কা দিয়েছিল মুদির দোকানগুলি, এখন ই-কমার্স এবং অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিপদে পড়েছে। মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য কম দামে বা ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রি করছে অনলাইন বাণিজ্য সংস্থাগুলি, যার ফলে মুদির দোকানগুলির গ্রাহক কমে যাচ্ছে।'
এছাড়াও, আইনবহির্ভূত দর-যুদ্ধ চালানো জোমাটোর ব্লিঙ্কিট, সুইগির ইন্সটামার্ট এবং জেপ্টো কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তোলা উচিত বলে দাবি করেছেন পাতিল। দাম কমানোর মতো অন্যায় কাজ করা অনলাইন সংস্থাগুলির তদন্তে ভারতের প্রতিযোগিতা কমিশন এগিয়ে আসার সময়ই এই ঘটনা ঘটেছে। এর আগে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা নিয়ে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছে এবং ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।