গত কয়েকদিন হল জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার জঙ্গি দমন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় সেনা। তাতে সাফল্য আসছে নিয়মিত। মঙ্গলবার সকালে পুলওয়ামায়া তেমনি এনকাউন্টারে নিকেশ করা গেল ২ জঙ্গিকে। তবে এদিনের অভিযানে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর এক জওয়ানও শহিদ হয়েছেন।
পুলওয়ামার বন্দজু এলাকায় এই এনকাউন্টার চালান হয়। সেনা, সিআরপিএফ ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী এই অভিযান চালায়। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় এখনও সার্চ অপারেশন চলছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বর্ষার পাশাপাশি তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ, সপ্তাহ জুড়েই চলবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টি
জঙ্গিরা জড়ো হয়েছে, গোপন সূত্রে এই খবর পয়েই বন্দজু গ্রামে অভিযানে নামে তিন বাহিনী। এদেশে সেনার উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরাও পাল্টা গুলি চালাতে থাকে। শুরু হয় দই তরফের মধ্যে গুলির লড়াই। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাহিনী নেকশ করে ফেলে ২ উগ্রপন্থীকে। তবে জঙ্গিদের গুলিতে জখম হন সিরআরপিএফের এক জওয়ানও। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এদিকে সোমবার রাতে ত্রালের বটাগুন্ড এলাকার সিআরপিএফ ক্যাম্প লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। আচমকা বীভৎস শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা চত্বর। বহু দূর থেকে এই শব্দ শুনে চমকে ওঠেন স্থানীয়রা। প্রথমে বোঝা যায়নি, ঠিক কীসের শব্দ হয়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। পরে জানা যায়, ত্রালের বটাগুন্ড সিআরপিএফ ক্যাম্প লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা।
এক সিআরপিএফ কর্তা জানান, শিবিরের সামনেই ফেটে যায় গ্রেনেডটি। অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। নইলে প্রাণহানি হতে পারত। সোমবার রাতে সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটা এই সম্ভাব্য হামলার পরেই শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন সিআরপিএফেও জওয়ানরা। ঘটনার পরেই সেনাবাহিনীকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশকেও সজাগ থাকতে বলা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় বহু রাস্তা। এলাকায় শুরু হয় সেনা-পুলিশের তল্লাশি।
কাশ্মীরে সিআরপিএফকে টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা নতুন নয়। বারবারই কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানরা টার্গেট হয়েছেন। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে অনন্তনাগে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। কোনও প্রাণহানি না হলেও গুরুতর আহত হয়েছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচ জওয়ান। এর পরে ফেব্রুয়ারিতেই আরও একবার সিআরপিএফকে নিশানা করেছিল জঙ্গিরা। শ্রীনগরের লালচকের প্রতাপ পার্কে সিআরপিএফের একটি ব্যাটেলিয়নের উপর গ্রেনেড ছুড়ে পালায় জঙ্গিরা। জখম হন দুই জওয়ান ও দুই সাধারণ মানুষ। এর পরে সোমবার ফের একই চেষ্টা।