পর্যটক ভিসায় আত্তারি-ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছেন ওঁরা। কিন্তু কেবল কয়েকদিনের অতিথি নয়, চিরতরে এদেশেই থেকে যেতে চান তাঁরা। আর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনই তাঁদের যে এই স্বপ্ন দেখাচ্ছে তাও স্বীকার করে নিলেন পাকিস্তানের ২০০ জন হিন্দু।
পাকিস্তান থেকে পর্যটক ভিসায় ভারতে আসা এই হিন্দুদের অধিকাংশেরই দাবি ইমরান খানের দেশে তাঁরা মোটেই নিরাপদ বোধ করেন না। তাই ভারতেই নিশ্চিন্তে বাকি জীবনটুকু কাটাতে চান তারা।
আরও পড়ুন: ১৫ লক্ষ দেননি মোদী-শাহ জুটি, প্রতারণার অভিযোগে মামলা শুরু রাঁচির আদালতে
ধর্মীয় নিপিড়নের কারণে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। এমনটাই দাবি করছেন ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসা চারটি শিখ পরিবার। তাদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন অকালি দলের নেতা এবং দিল্লি শিখ গুরুদ্বার পরিচালন কমিটির সভাপতি মনজিন্দর সিং সির্সা। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে এই শিখ পরিবারের সদস্যদের ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার অনুরোধ জানাতে চলেছেন মনজিন্দর।
আরও পড়ুন: ফের মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলল গুলি, ক্যালিফোর্নিয়ায় যাত্রীবাহী বাসে বন্দুকবাজের হামলা
২৫ দিনের ভিসায় ওয়াঘা-আত্তারি দিয়ে সোমবার ভারতে এসেছে ৫০টি হিন্দু পরিবার। তাদের মধ্যে একদন লক্ষ্মণ দাস জানান, 'হরিদ্বারে পবিত্র স্নানের পর নিজের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবব। আগামী দিন ভারতে কাটাতে চাই।'
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বলবৎ হওয়ার পর পাকিস্তান থেকে হিন্দুদের ভারতে আসা বেড়েছে। এই আইন ঘিরেই আশার আলো দোখছেন পাকিস্তান থেকে আসা নির্যাতিত পরিবারগুলি। এঁদের অধিকাংশেরই আত্মীয়-স্বজন থাকেন রাজস্থানে।