জম্মু ও কাশ্মীরে সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বেড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষ চলছে। জঙ্গিদের খতম করতে সফলও হচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
দেশে মনে হবে সাধারণ কাবার্ড। পরপর ড্রয়ার, আয়না, জামাকাপড় রাখার জায়গা। দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটা আসলে সাধারণ কাবার্ড নয়। এর পিছনে আছে আস্ত বাঙ্কার। সেই বাঙ্কারেই লুকিয়েছিল চার জঙ্গি। তারা অবশ্য লুকিয়েও বাঁচতে পারেনি। গোপন আস্তানা থেকে টেনে বের করে তাদের খতম করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলার চিন্নাগাম ফ্রিসাল অঞ্চলে সংঘর্ষের ঘটনায় এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ভিডিও। কাবার্ডের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বাঙ্কারের ভিতরে ঢুকে গিয়ে সেটা দেখিয়েছেন এক যুবক। জঙ্গিরা কীভাবে নিজেদের কার্যকলাপ চালাচ্ছিল, কোন কৌশল অবলম্বন করেছিল, সেটা এই ঘটনায় স্পষ্ট। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য ছাড়া জঙ্গিদের পক্ষে এভাবে লুকিয়ে থাকা সম্ভব ছিল না। এই কারণে সংঘর্ষের পর স্থানীয়দের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
কুলগামে খতম হিজবুল জঙ্গিরা
নিরাপত্তারক্ষীরা জানিয়েছেন, কুলগামের চিন্নাগাম ফ্রিসালে যে জঙ্গিদের খতম করা হয়েছে, তারা হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। খতম হওয়া জঙ্গিদের মধ্যে একজন হিজবুলের স্থানীয় কমান্ডার ছিল। শনিবার শুরু হয় সংঘর্ষ। কুলগাম জেলার দু'টি গ্রামে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষের ঘটনায় সেনাবাহিনীর দু'জন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন এলিট প্যারা কম্যান্ডো। চিন্নাগাম ফ্রিসাল থেকে চার জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে সাফল্য
জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি আর আর সোয়াইন জানিয়েছেন, ‘একসঙ্গে এতজন জঙ্গিকে খতম করা বড় সাফল্য। নিঃসন্দেহে নিরাপত্তার পরিবেশ জোরদার করার ক্ষেত্রে এই ঘটনা বড় মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই সাফল্য অর্থবহ। স্থানীয়দের সাহায্যে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে সাফল্য পাচ্ছি আমরা।’
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
ফের রক্তাক্ত জম্মু কাশ্মীর! রাতের অন্ধকারে হামলা চালাল সন্ত্রাসীরা, ভয়াবহ জখম ২ জওয়ান
Terrorist Attack: ৩০ মাসে ছবার হামলা, ভোটের আগে কাশ্মীর রক্তাক্ত করতে নয়া ছক পাকিস্তানের?
Kashmir: পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ বিবৃতি, কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থানকেই সমর্থন সৌদি আরবের