ভারতীয় সেনার গুলিতে নিকেশ হল কমপক্ষে ৫ জন লস্কর জঙ্গি। তবে জঙ্গিদের পাল্টা গুলিতে শহিদ হলেন এক ভারতীয় জওয়ান। জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আচমকাই শুরু হয় ভয়াবহ গুলির লড়াই। পুলওয়ামা জেলার রাজপোরা এলাকার হানজিন গ্রামে কয়েক জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে, খবর পেয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে বাহিনী। শুরু হয় চিরুণি তল্লাশি।
আরও কাছাকাছি ভারত-বাংলাদেশ, কয়লা বোঝাই জাহাজ ছাড়ল কলকাতা থেকে
আচমকা ভারতীয় সেনার দিকে ছুটে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি। গুরুতর জখম হন ওই সেনা জওয়ান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পাল্টামার দেয় ভারতীয় সেনাও। সেনার গুলিতে খতম হয় কমপক্ষে পাঁচজন লস্কর এ তইবা জঙ্গি। তবে তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তারা প্রত্যেকেই পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্করের সদস্য বলে খবর।
দুদিন আগেই এক অপারেশনে খতম হয় লস্কর ই তইবার শীর্ষনেতা ও এক পাকিস্তানি জঙ্গি। লস্করের যে শীর্ষ নেতাকে নিকেশ করা হয়, তার নাম আবরার। মঙ্গলবার ভোররাতে এক এনকাউন্টারে কাশ্মীর পুলিশ খতম করে এই লস্কর কমান্ডারকে।
মঙ্গলবার সকালে কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার জানান, শ্রীনগরের মালুরা পারামপোরায় এই এনকাউন্টার শুরু হয়। সেখানেই নিকেশ হয় আবরার। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট সূত্রে খবর ছিল জঙ্গিদের বিষয়ে। তারপরেই হামলা চালানো হয়। প্রথমে গোটা এলাকা নাকাবন্দি করে ফেলে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফ। হাইওয়ের ওপরে একাধিক জায়গায় ঘাঁটি গাড়ে যৌথ বাহিনী। কারণ খবর মেলেছিল হাইওয়ের ওপর হামলা চালানো হতে পারে।
জম্মু কি হামলার সফট টার্গেট, ফের পাক ড্রোন দেখে গুলি চালাল বিএসএফ
জম্মু বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা, কাশ্মীরে পুলিশ অফিসারের বাড়িতে ঢুকে গুলি করার মত নাশকতার ঘটনায় উত্তপ্ত ছিল ভূস্বর্গ। মঙ্গলবারের গুলি বিনিময়ে তিনজন সিআরপিএফ জওয়ান আহত হন। গুলি লাগে আবরারেরও। এই এনকাউন্টারেই আরেক পাক জঙ্গি খতম হয়। ওই বাড়িটি থেকে দুটি এ কে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।