মধ্যপ্রদেশ সিংরাউলিতে রিলায়েন্স পাওয়ার চালিত শাসন আলট্রা মেগা পাওয়ার প্রজেক্ট থেকে বেরিয়ে আসছে বিষাক্ত কাদা ও ছাইয়ের স্রোতে। তাতে ভেসে যাচ্ছে কৃত্রিম পুকুরের পাড় থেকে কৃষিজমি সবকিছুই। স্থানীয় গ্রামবাসীদের মোবাইলে তোলা ভিডিও ও ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে পাওয়ার প্ল্যান্টের আশেপাশে কৃষিজমি রয়েছে এবং তার ওপর দিয়ে কাদামাটির স্রোত বয়ে যাচ্ছে। আর এই পাওয়ার প্যান্টের বিষাক্ত ছাই ভর্তি পুকুরে ভেসে নিখোঁজ হলেন ৫ গ্রামবাসী। শুক্রবার রাত থেকে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে ৬৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সিংরাউলিতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এই নিয়ে গত এক বছরের মধ্যে তিনবার এইধরনের ঘটনা ঘটলো এই অ়ঞ্চলে। সিংরাউলিতে আরো ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এই পাওয়ার প্ল্যান্টগুলিতে ২১,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। আর পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর জন্যই সিংরাউলি দেশের মধ্যে শিল্পদূষণে জেরবার দ্বিতীয় এলাকা হিসাবে চিহ্নিত। প্রথম স্থানে রয়েছে গাজিয়াবাদ।
আরও পড়ুন: করোনায় জেরবার বিশ্বে নতুন করে আশঙ্কার মেঘ, এবার উত্তর মেরুর ওজন স্তরে দেখা দিল ছিদ্র
সিংরাউলির জেলা কালেক্টর কেভিএস চৌধুরি জানিয়েছেন, বিষাক্ত জলের তোড়ে ভেসে যাওয়া পাঁচ জন লোকের বাড়িই ওই পুকুরের পাড়ের খুব কাছাকাছি ছিল। রিলায়েন্স পাওয়ারের মারাত্মক অবহেলার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। শ্রীস চৌধুরি বলেন, "নিখোঁজ গ্রামবাসীদের উদ্ধার করতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালান হচ্ছে। এই ঘটনার কারণে ফসলেরও সাংঘাতিক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি আমরা দেখব এবং এই ঘটনায় রিলায়েন্স প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহিও চাওয়া হবে।"
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিলের পর কি বাড়ছে লকডাউনের মেয়াদ, জেনে নিন সমীক্ষায় কত শতাংশ মানুষ রায় দিলেন পক্ষে
গ্রিন কোর্টে সিংরাউলিতে হওয়া দূষণ নিয়ে মামলা দায়ের করা আইনজীবী অশ্বিনী দুবে জানান, মাত্র কয়েক মাস আগেই ন্যাশানাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের একটি দল এই এলাকা পরিদর্শনে এসেছিল। সমস্ত বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো দলটিকে আশ্বস্ত করেছিল যে তাদের প্ল্যান্ট থেকে নির্গত বিষাক্ত ছাই উপযুক্ত সুরক্ষার সাথে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। কিন্তু তারপরেও এই ঘটনা ঘটলো। এর আগেও এরকম বহু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেনি।