বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এদেশেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। ইতিমধ্যে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমণের শিকার হয়েছে ৮৯৬। যা এদেশে একদিনে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ১৯ রোগে মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। ফলে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৬। তবুও এদেশর পরিস্থিতি আমেরিকা বা ব্রিটেনের মত পশ্চিমি দেশগুলির তুলনায় অনেকটাই ভাল বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।
এদেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৭১ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। আর ভারতে সংক্রমণের পর সুস্থ হয়ে ইতিমধ্যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৫১৫ জন। রাজ্যগুলির মধ্যে মৃত্যুহারে দেখতে গেলে সংক্রমণের ঘটনার মত এখানেও এগিয়ে রয়েছে মহারাষ্ট্র। রাজ্যটিতে মৃতের সংখ্যা ৯৭। এরপরেই রয়েছে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ ও দিল্লি। তবে গত একমাসের বেশি সময় ধরে এদেশে করোনা সংক্রমণ ঘটলেও মৃতের হার যথেষ্ট কম বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যার মাত্র ৩ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত। যা গোটা বিশ্বের তুলনায় অনেকটাই কম। পাশাপাশি ইউরোপে করোনা আক্রান্ত ব্রিটেন, ইতালি এবং স্পেনের তুনলা এই দেশের পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল বলে মনে করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। গত ১০ মার্চ এদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল।
আমেরিকায় একদিনে করোনা প্রাণ কাড়ল ২,০০০ বেশি, মৃত্যু মিছিলে এক নম্বরের পথে ট্রাম্পের দেশ
মৃত্যু মিছিলে হিমশিম নিউইয়র্ক, বিশ্বের অন্যতম আধুনিক শহরে এবার খোড়া হচ্ছে গণকবর
সামনে লম্বা লড়াই, করোনা যুদ্ধে ভারতকে ১৬,৭০০ কোটি অনুদান এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের
স্পেন এবং ইতালিতে মৃত্যু মিছিলের অধিকাংশই বয়স্ক ব্যক্তি। সেই তুলনায় ভারতে যুব সমাজের সংখ্যা বেশি হওয়ায় মৃত্যুহার অনেকটাই কম বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের প্রথমে ভারতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এদেশে করোনা সংক্রমণে মৃতদের ৬৩ শতাংশই ৬০ বছরের উর্দ্ধে। ৩০ শতাংশের বয়স ৪০ থেকে ৬০ মধ্যে। এবং ৭ শতাংশ মানুষ ৪০ বছরের নিচে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে ভারতে যেখানে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুহার ৩-১ শতাংশ , সেখানে আমেরিকায় সংখ্যাটা ৩.৫৭ শতাংশের কাছে। তবে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি ইউরোপের দেশগুলিতে। স্পেনে সংখ্যাটা ৯.৩০ শতাংশ এবং ইতালিতে ১২.৭২ শতাংশ। ব্রিটেনের ক্ষেত্রেও পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগের। মৃত্যুহার আক্রান্তের ১২ শতাংশ। একমাত্র জার্মানিতেই মৃত্যুহার অনেকটা কম। দেশটিতে শতাংশের হিসাবে সংখ্যা ২.০৯ শতাংশ। তবে কেবল ইউরোপের দেশগুলি থেকে নয় গোটা বিশ্বের তুলনায় ভারতে মৃত্যুহার অনেকটা কম। গোটা বিশ্বে শতাংশের হিসাবে সংখ্যা ৫.৯৮ শতাংশ।