সেরামের আগুন প্রাণ নিল ৫ জনের, করোনাভাইরাসের টিকা নিরাপদে রয়েছে বলেই দাবি সংস্থার

  • বৃহস্পতিবার বিকেলে আগুন লাগে সেরাম ইনস্টিটিউটে 
  • এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে
  • কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী 
  • শুক্রবার সেরাম যাবেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী 
     

Asianet News Bangla | Published : Jan 21, 2021 2:25 PM IST

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা পুনের সেরাম ইনস্টিটিউটের একটি নির্মীয়মাণ ভবনে বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকাই আগুন লাগে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুনের জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।  নির্মীয়মান ভবনটিতে এখনও বেশ কয়েক জনকজন আটকে রয়েছে, ইতিমধ্যেই তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান হয়েছে। 

পুণের মেয়র মুরলিধর মোহল জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরেই উদ্ধারকার শুরু হয়েছিল। সেই সময়ই পাঁচ জনের মৃতদের উদ্ধার হয়েছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদার পুনেওয়ালা। পাশাপাশি তিনি বলেছেন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত করা হবে। সেরামে র আগ্নিকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন। অন্যদিকে আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার দুপুরে সেরামের কারখানা পরিদর্শন করবেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। 

পুনে প্রশাসনের তরফ থেকে জানান হয়েছিল নির্মীয়মান বাড়িটেকে ওয়েলডিংএর কাজ চলছিল। সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল তাঁরা সকলেই সেখানে কাজ করছিলেন বলেও জানান হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে। 

'টিকা নিয়ে অপপ্রচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে', দ্বিধা কাটাতে বললেন পরামর্শ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর ...

নজিরবিহীন জোড়া বিস্ফোরণ ইরাকে, ভোট প্রস্তুতি বাধা দিতেই কি সক্রিয় জঙ্গিরা ..

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার বিকাশ করা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক কোভিশিল্ড তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। ভারত সহ বেশ কয়েকটি দেশে তাদের তৈরি প্রতিষেধক সরবরাহ করা হবে। বৃহস্পতিবার বিকালে আগুন লাগে সেরামের কারখানায়। তবে কোভিশিল্ডগুলি নিরাপদে রয়েছে বলেও জানান হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে। বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট প্রায় একশো একর জায়গা নিয়ে তৈরি  হয়েছে। এদিন যেখানে আগুন লাগে সেটি কোভিশিল্ড তৈরির জায়গা থেকে গাড়ি করে গেলে মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগে। 
 

Share this article
click me!