কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিচালক দিলবাগ সিং এর তৎপরতায় নিহত হলো ৫৬ জন পাকিস্তানি নাগরিকসহ ১৮৯ জন সন্ত্রাসবাদী । এমনকি গ্রেপ্তার করা হয় ১৫৯ জন জঙ্গিকেও। বিগত বছরগুলির তুলনায় এইবছর সন্ত্রাস দমনে মাইলফলক গড়েছে কাশ্মীর পুলিশ।
দীর্ঘ দিন ধরেই জঙ্গি হামলায় উত্তপ্ত উপত্যকা। রক্তক্ষরণ হচ্ছে সাধারণ মানুষের। তবে ২০২২ সালে জঙ্গি দমনে নজিরবিহীন সাফল্য পেয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ। সন্ত্রাসবাদীদের হামলা থেকে শুরু করে , একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপ , হিন্দু হত্যা সব নিয়েই এতদিন বেশ সমস্যায় জর্জরিত ছিল কাশ্মীর। এর মাঝেই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিচালক দিলবাগ সিং এর তৎপরতায় নিহত হলো ৫৬ জন পাকিস্তানি নাগরিকসহ ১৮৯ জন সন্ত্রাসবাদী । এমনকি গ্রেপ্তার করা হয় ১৫৯ জন জঙ্গিকেও। বিগত বছরগুলির তুলনায় এইবছর সন্ত্রাস দমনে মাইলফলক গড়েছে কাশ্মীর পুলিশ। এটি কাশ্মীর পুলিশের খুব বড় একটি সাফল্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।
ঘটনার পর তিনি এক প্রকাশ্য বিবৃতিতে জানান যে পুলিশ সহ কেন্দ্রের অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলি দেশকে পুরোপুরি সন্ত্রাসমুক্ত করার জন্য যে বিশেষ পদক্ষেপগুলি নিচ্ছে তা সব দিক থেকেই দেশের জন্য পরিপন্থী। বছর শেষের প্রেস কনফারেন্সে তিনি এও জানান যে ১৪৬ টি পাকিস্তান - সৃষ্ট সন্ত্রাসবাদী মডিউলকে ২০২২ সালেই ধ্বংস করেছে কাশ্মীর পুলিশ। এই পাক মডিউল গুলির মধ্যে ছিল হত্যা থেকে শুরু করে গ্রেনেড হামলা প্রভৃতি। কিন্তু কাশ্মীর পুলিশ ও এনআইএ এর তৎপরতায় তা পন্ড হয়। এই মডেলে ৪-৫ জন সদস্য নিয়ে এক জঙ্গি গোষ্ঠী নির্মাণের কথাও উঠে এসেছিলো তখন। কিন্তু তা শক্ত হাতে দমন করেছিল প্রশাসন। তবে এই ঘটনাতেও দমে যায়নি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। তারা ১০০ জন যুবককে ফের সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করে জম্মুর এক প্রশিক্ষণ শিবিরে।
তবে স্থানীয় পুলিশ এই ঘটনাকে সাফল্য হিসেবেই দেখছেন। তাদের মতে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী সক্রিয় সন্ত্রাসীদের সংখ্যা দুই অঙ্কের ঘরে আনার চেষ্টা করছিল এতদিন।অবশেষে তা সফল হয়েছে এবার। সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত যুবকদের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় এবার অনেকেই কম। তাই কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাস নির্মূল হবেই এবার - আত্মবিশ্বাসের সুর কাশ্মীর পুলিশদের গলায়।
কিছুদিন আগেই কাশ্মীরে আপেল বাগান হরফ করার জন্য যে হিন্দু হত্যা হয়েছিল তার প্রতিবাদে কাশ্মীরি হিন্দুরা জানায় যে বিজেপি সরকার যদি কাশ্মীরি হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে নাই পারে তাহলে তাদের কাশ্মীরে ফেরার বার্তা দিয়েছিল কেন ? হিন্দুদের গুলি খেয়ে মরবার জন্য ? এই প্রতিবাদের ভাষা শোনা গেছিলো সারা দেশ জুড়েই। এমনকি পার্লামেন্টে বিরোধী পক্ষরাও সরব হয়েছিল বিষয়টি নিয়ে। তবে কি এবার মুখে নয় কাজ করে যোগ্য জবাব দিলো বিজেপি সরকার ? ভাবাচ্ছে আমি জনতা থেকে বিরোধী সকলকেই