নবম শ্রেণির এক ছাত্র দীর্ঘদিন ধরে পেটে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। আল্ট্রাসাউন্ডের জন্য পনেরো বছর বয়সী আদিত্যকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় চিকিৎসকদের চোখ ছানাবড়া! কারণ, চিকিৎসকরা দেখেছেন, কিশোরীর পেটে ঘড়ির বেল্ট, ব্লেডের টুকরো, পেরেক-সহ প্রায় ৫৬টি ধাতব টুকরো রয়েছে। এই অদ্ভুত, মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হাথোরস জেলায়।
জানা গিয়েছে যে হাথোরসের রত্নগর্ভা কলোনীর বাসিন্দা সঞ্চেত শর্মার ছেলে সম্প্রতি পেটে ব্যথা এবং শ্বাস নিতে অসুবিধায় ভুগছিলেন। তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। কিন্তু, এখানে কিশোরের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে জয়পুরের এসডিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে কয়েকদিন চিকিৎসার পর তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়।
কিন্তু, সমস্যা আবার বাড়তে শুরু করলে ২৫ অক্টোবর ওই কিশোরের আবার সমস্যা শুরু হলে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা তার নাকের সিটি স্ক্যানে একটি গলদ খুঁজে পেয়েছেন অস্ত্রোপচার করে পিণ্ডটি অপসারণ করা হয়েছে। কিন্তু, এরপরও পেটের সমস্যা আগের মতোই থেকে যায়। দুর্ভাগ্যবশত অস্ত্রোপচারের পরদিনই আদিত্য মারা যায়।
কিশোরের পরিবারের সদস্যরা জানান, ২৬ অক্টোবর আদিত্যের পেটের আল্ট্রাসাউন্ড একটি বেসরকারি আল্ট্রাসাউন্ড সেন্টারে করা হয় এবং সেখানে ১৯টি অস্বাভাবিক ধাতব পাত পাওয়া যায়। এর পরে এখানকার ডাক্তার আদিত্যকে নয়ডার একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করেন। এরপর তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে আল্ট্রাসাউন্ড রিপোর্ট দেখায় যে আদিত্যকে তার পেটে প্রায় ৫৬ টি বস্তু তার পরিবার দিল্লির সফদরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল, যেখানে একটি আল্ট্রাসাউন্ড একই রিপোর্ট পেয়েছিল। এরপর ২৭ অক্টোবর তার অস্ত্রোপচার করা হয়। সমস্ত জিনিস সরিয়ে ফেলা হয় এবং তার পেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত, চিকিৎসাধীন অবস্থায় অস্ত্রোপচারের পরদিন ২৮ অক্টোবর রাতে আদিত্য মারা যান।