রবিবার সকাল থেকেই দিল্লির লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত যনুমা নদীর দুষণ ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। শুক্রবার থেকেই ধীরে ধীরে সাদা ফেনা বাড়ছে।
দিল্লি প্রশাসনের ঘুম ওড়াচ্ছে যমুনা নদীর দুষণ। ছট পুজোর আগেই বিষাক্ত ফেনায় ঢেকে গেছে যমুনা নদী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গেছে সেই ছবি। উদ্বেগ বাড়ছে দিল্লিবাসীর। কালীকুঞ্জ এলাকায় যমুনা নদী সম্পূর্ণ ঢেকে গেছে সাদা বিষাক্ত ফেনায়। ফেনা সরাতে ইতিমধ্যে স্প্রে করা শুরু হয়েছে। রাসায়নিক ডিফোমার স্প্রে করা হচ্ছে। শুক্রবার থেকেই দিল্লিতে যমুনা নদীতে সাদা ফেনা বাড়ছিল। রবিবার, আজ সকালে এমন অবস্থা হয়েছে যা দেখে মনে হচ্ছে মেঘ যেন নদীর ওপর ভাসছে।
রবিবার সকাল থেকেই দিল্লির লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত যনুমা নদীর দুষণ ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। শুক্রবার থেকেই ধীরে ধীরে সাদা ফেনা বাড়ছে। এদিন তা পাহাড় প্রমাণ হয়ে যায়। যা নিয়ে উদ্বেদ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। নদী পরিষ্কারের জন্য একটি পৃথক দল গঠন করেছে দিল্লি জল বোর্ড। তবে এটাই প্রথম নয়। প্রায় প্রত্যেক বছরই এই সময় যমুনা নদীর দূষণ ভয়ঙ্কর আকার নেয়। এমনিতেই দীপাবলির সময়টা দিল্লির দুষণ মারাত্মক আকার নেয়। এই সময় হরিয়ানা ও পঞ্জাবে ফসলের উচ্ছিষ্ট অংশ বা খড় পোড়ান শুরু হয়। যার কারণে দিল্লির আকাশ থাকে দূষণে ভরা। বায়ু দুষণের সঙ্গে সঙ্গে দিল্লিতে জল দূষণও গত কয়েক বছর ধরে মারাত্মক আকার নিয়েছে।
দিল্লির এই যমুনা দূষণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। আম আদমি পার্টি ও বিজেপি একে অপরকে দোষারোপ করতেই ব্যস্ত। দিল্লির যমুনা নদীর দূষণের কারণ হিসেবে বিজেপি নেতা শাহজাগ পুনাওয়ালা দুষণের জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও আম আদমি পার্টির দুর্নীতিকেও দায়ী করেছেনয়। তিনি বলেছেন, কেজরিওয়াল দিল্লিকে গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ছট পুজোর আগে নিজেদের দায়মুক্ত করতেই রাসায়নির ডিফোমার ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী ও পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই দুষণ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। পূর্ত দফতর ২০০টি অ্যান্টি স্মোগ দান মোতায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।