পুলিশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, গ্রামবাসীরা যে দোকান থেকে মদ কিনেছে, সেই দোকানটি সমাজবাদী পার্টি প্রার্থী রমাকান্ত যাদবের ভাগ্নে রঞ্জেশের। পুলিশ চৌকির পাশেই এই মদের ঠেক বলে জানা গিয়েছে।
ফের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশের আজমগড় (Azamgarh)। বিষাক্ত মদ (spurious liquor) পান করে মারা গেলেন ৯জন (9 people died)। এছাড়াও ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক (critical)। তাদের কেউ কেউ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন (lost their sight)। রবিবার রাতে মহুল শহরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, গ্রামবাসীরা যে দোকান থেকে মদ কিনেছে, সেই দোকানটি সমাজবাদী পার্টি প্রার্থী রমাকান্ত যাদবের ভাগ্নে রঞ্জেশের। পুলিশ চৌকির পাশেই এই মদের ঠেক বলে জানা গিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে অ্যালকোহলের ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এরই সুযোগ নিয়ে ভেজাল মদও দ্রুত বিক্রি করছে মানুষ। আজমগড় জেলায়, দেশীয় মদ খুল্লামখুল্লা বিক্রি হচ্ছে। এই মদ খেয়েই প্রায় ৫০ জন হাসপাতালে জীবনের জন্য লড়াই করছে। ইতিমধ্যেই বিষাক্ত মদ পান করে মারা গিয়েছেন ৯ জন।
ইউত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের মাঝখানে, বিষাক্ত মদের কারণে এই মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মহুলে পৌঁছেছেন ডিএম, এসপি সহ ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ডিএম অমৃত ত্রিপাঠী জানান, ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে ৪ জনকে সিএইচসি থেকে জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। এই দোকান থেকে আর কারা মদ খেয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোকানের বিক্রেতা ধরা পড়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে NSA ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ গ্রামবাসী ও আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এর পাশাপাশি রবিবার এই দোকান থেকে আরও কারা মদ খেয়েছে তা খুঁজে বের করতে পুলিশ ও প্রশাসন এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে, যাতে সময়মতো তাদের চিকিৎসা করা যায়। গ্রামবাসীদের মতে, নিহত নয় জনের মধ্যে পাঁচজনকে দাহ করা হয়েছে। চারটি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতরা একই পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তারাও বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। এসপি অনুরাগ আর্য বলেন, দুজনকে আটক করা হয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ করে। গ্রামবাসীরা বলছেন, পুলিশের যোগসাজশে দোকান থেকে মদ বিক্রি হয়। বেশি লাভের জন্য সরকারি দোকানে মানুষের কাছে বিষাক্ত মদ বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ তাঁদের। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাসে মিট্টুপুর গ্রামে বিষাক্ত মদ পান করে ৩০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়। ঘটনার পর জেলা প্রশাসন অবৈধ মদের ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।