সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজে দেখা যায়, প্রার্থনা চলাকালীন হঠাৎ ওই ব্যক্তি রেলিং টপকে আসে। সে শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিবের সামনে রাখা তলোয়ারে স্পর্শ করা চেষ্টা করে।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থের সামনে রাখা তলোয়ার স্পর্শ করার চেষ্টা করার অপরাধে পিটিয়ে খুন করা হল এক ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটেছে অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে (Golden Temple)। শিখ সম্প্রদায়ের আবেগের সঙ্গে জড়িত তাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিব। এই গ্রন্থটি তাদের কাছে ১১ তম ধর্মগুরু। শিখ ধর্মীবলম্বীদের এই আবেগে আঘাত করার অপরাধে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। স্বর্ণ মন্দিরকে (Golden Temple) অপবিত্র (Sacrilege) করার চেষ্টা করায় গণ পিটুনিতে মৃত্যু হল এক ব্যক্তিকে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে স্বর্ণমন্দির চত্বরে। সেখানে, সিসিটিভি ফুটেছে ধরা পড়েছে এই দৃশ্য।
প্রতিদিনের মতো শনিবারও সন্ধ্যায় প্রার্থনা চলছিল স্বর্ণ মন্দিরে। মন্দির চত্বরে একাধিক ক্যামেরা লাগানো আছে। প্রতিদিনই স্বর্ণ মন্দিরের এই প্রার্থনা সরাসরি সম্প্রচার হয় টেলিভিশনে। সেই ফুটেজে ধরা পড়েছে ঘটনাটি। প্রার্থনা চলাকালীন, এক ব্যক্তি রেলিং টপকে সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করে। তিনি এখাই ছিলেন। ২২-২৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মাথায় ছিল হলুদ কাপড়। সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজে দেখা যায়, প্রার্থনা চলাকালীন হঠাৎ ওই ব্যক্তি রেলিং টপকে আসে। সে শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিবের সামনে রাখা তলোয়ারে স্পর্শ করা চেষ্টা করে। যা স্পর্শ করার অর্থ স্বর্ণমন্দির অপবিত্র (Sacrilege) করা। তখনই উপস্থিত শিখ ধর্মাবলম্বীরা তাকে ধরে বের করে দেয়। এরপর অমৃতসরের পবিত্র স্বর্ণ মন্দির অপবিত্র করার চেষ্টার অপরাধে তাকে মারধর করা হয়। গণ পিটুনিতে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তি।
অমৃতসরের ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ প্রমিন্দর সিং বান্দল বলেন, ‘আজকের সন্ধ্যায় প্রার্থনার সময় এক ব্যক্তি বেড়া টপকে যায়। সেখানে ঘেরা জায়গায় ঢুকে পড়ে। সমবেতরা প্রার্থনা করছিল। ভিতরে উপস্থিত ব্যক্তিরা তাকে ধরে ফেলে। ও মারধর করে। সেই ঘটনায় মৃত্যু (Death) হয় ওই ব্যক্তির। তিনি আরও জানান যে, ওই ব্যক্তি একা ছিলেন। ওই এলাকায় প্রচুর সিসিটিভি লাগানো আছে। আর সেগুলো থেকেই এই ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। জানান, আগামীকাল ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে ব্যক্তির দেহ।’
তবে, সেই ব্যক্তি কেন, স্বর্ণ মন্দির অপবিত্র করার চেষ্টা করছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। অমৃতসরের (Amritsar) ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ প্রমিন্দর সিং বান্দল জানান যে ঘটনার তদন্ত চলছে। অপরাধীকে চিহ্নিত করা হবে খুব শীঘ্রই। তবে, এই প্রথম নয়। এর আগেও মন্দির অপবিত্র করার চেষ্টা করার ঘটনা ঘটেছে সেখানে।